বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামে ব্যাপক আকারে শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দান শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে নগরীর তিনটি কমিউনিটি সেন্টারে স্থাপিত টিকাকেন্দ্রে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের বিপুল উপস্থিতিতে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের লাইন টিককেন্দ্রকে ঘিরে আশপাশের সড়কে বিস্তৃত হয়। এতে এসব এলাকায় রীতিমত যানজট সৃষ্টি হয়। তবে এতো ঝক্কি ঝামেলার মধ্যেও টিকা নিতে পেরে খুশি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা।
স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে চট্টগ্রামের স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে নগরীর তিনটি কমিউনিটি সেন্টার নির্ধারণ করা হয়। নগরীর আসকার দীঘির পাড়ের রিমা কনভেনশান সেন্টার, সিরাজউদ্দৌল্ল রোডের হল সেভেন-ইলাভেন ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের আব্দুল্লাহ কমিউনিটি সেন্টারের টিকাদান কেন্দ্রে শত শত শিক্ষার্থীর ভিড় জমে। এই তিন কমিউনিটি সেন্টার ছাড়াও নগরীর ৫টি স্কুলে টিকা দেওয়া হচ্ছে। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই।
তবে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রথম দিন হিসাবে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। কাল থেকে এ সমস্যা হবে না। চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী এবং উপজেলাগুলোতে ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। যারা টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় আসবে না, তাদের ক্লাসে আসতে দেওয়া হবে না।
নগরীর পাশাপাশি ১৪ উপজেলায় চলছে টিকাদান কার্যক্রম। এসব উপজেলায় লোকবলের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে এ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী। তিনি জানান, শুধু নগরেই ৬৫টি বুথে এ কার্যক্রম চলছে। শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এক নির্দেশনায় ১৫ জানুয়ারির মধ্যে করোনা প্রতিরোধে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ১২-১৮ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীর টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে বলেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।