Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিহত বেড়ে ৪৩

তিনটি পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

বছরের শুরুতেই পর পর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বেসামাল পাকিস্তান। একদিকে তুষারপাত, কনকনে ঠান্ডা তো অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টিপাত। সবমিলিয়ে সে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লাফিয়ে বেড়েছে নিহতের সংখ্যা। শনিবার সন্ধা পর্যন্ত তুষারপাতে আটকে ১৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। গতকাল সকালে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩। অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টি এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ বহু। সবমিলিয়ে নানা দুর্যোগের জেরে পাকিস্তান থেকে ৪৩ জনের প্রাণহানির খবর জানা গেছে।

শনিবার থেকে পাকিস্তানের উত্তর প্রান্তে পর্বতচুড়ায় অবস্থিত শহর মারিতে তুষারপাতের কারণে গাড়িতে আটকে পড়েন অনেকেই। পর্যটকদের হুড়োহুড়িতে শহরের রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। এদিকে প্রবল তুষারপাতের কারণে গাড়ি আটকে যায়। ফলে গাড়ি সরানো যায়নি। চরম ঠান্ডায় গাড়িতেই ২৩ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গাড়িতে আটকে থাকা পর্যটকদেক কম্বল এবং খাবার বিতরণ করছে স্থানীয় প্রশাসন। আগামী দুদিন ওই শৈলশহরে পর্যটকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অবস্থাও তথৈবচ। শুরু হয়েছে প্রবল তুষারপাত। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। যার জেরে ইতিমধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে পাঞ্জাব এবং বালোচিস্তান প্রদেশেও প্রবল বর্ষণ চলছে। সেখান থেকে ১১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গৃহহীন শতাধিক। স্থানীয় প্রশাসন এবং সেনা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার রাত পর্যন্ত চলবে এই তুষারপাত এবং বৃষ্টি। যার জেরে পাহাড়ি এলাকায় হড়পা বান বা মেঘভাঙা বৃষ্টির মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। সেই মতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেনা, আধা সমারিক বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মারি তুষারপাতের ট্র্যাজেডির পর পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ শোগরান, নারান এবং কাগানে পর্যটকদের প্রবেশের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মানসেহরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, তহসিল বালাকোট, নারান, কাগান এবং শোগরারন চরম আবহাওয়ার কারণে সমস্ত ধরণের যানবাহনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, বালাকোটের আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। শোগরানের জেলা প্রশাসক কাসিম খান জানিয়েছেন, সেখানে এখন পর্যন্ত আড়াই ফুটের বেশি তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব সরকারকে উদ্ধার ও উচ্ছেদ অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে ডাকতে হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে এক হাজারের বেশি পর্যটককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো তাদের অপ্রস্তুততা এবং কার্যকর পদক্ষেপের অবহেলার জন্য সরকারের সমালোচনা করেছে। সূত্র : ডন, খালিজ টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ