নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে অভিজাত সংস্করণে পথচলা শুরু বাংলাদেশের। শুরু থেকে এই বাইশ বছরে বাংলাদেশ খেলেছে ১২৮ টেস্ট। একটি দলকে একটানা না খেলানো, ঘন ঘন অভিষেক করানোর ফলে এই সময়ে বাংলাদেশ পেয়ে গেল নিজেদের ইতিহাসের শততম টেস্ট ক্রিকেটার। সৌভাগ্যবান সেই ক্রিকেটারের নাম নাঈম শেখ। তার অবশ্য অভিষেক হলো আরেকজনের দুর্ভাগ্যে। মাউন্ট মাঙ্গানুইতে আগের টেস্টে ৭৮ রানের দৃঢ়তাপূর্ণ ইনিংস খেলা মাহমুদুল হাসান জয় আঙুলে চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন আগেই। তার জায়গায় অভিষেক করানো হয়েছে নাঈমকে। টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া বাংলাদেশের ১০০তম ক্রিকেটার হিসেবে নাঈম তাই পেলেন একশো নম্বর টেস্ট ক্যাপ।
অভিষেকের আগে লাল অভিজ্ঞতার ঝুলি ও পারফরম্যান্সের অবস্থা খুবই বেহাল নাঈমের। মাত্র ৬টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন তিনি, সব শেষ ম্যাচ খেলেছেন ১৯ মাস আগে। সেই ম্যাচেও দুই ইনিংসেই ফিরিয়েছেন শূন্য রানে। ৬ প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে আলোর দেখা না পাওয়া নাঈমের গড় ১৬.৬৩। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু তার দলে আসা নিয়েও কোন জুতসই যুক্তি দেখাতে পারেননি। জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মধ্যে থাকায় নেওয়া হয়েছে নাঈমকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বলতে নাঈম খেলছিলেন টি-টোয়েন্টি। এরকম পরিকল্পনাহীন ও অপ্রস্তুতভাবে অনেক ক্রিকেটারকে টেস্টে নামানোর নজির আছে বাংলাদেশের। এক-দুই টেস্ট খেলে ক্যারিয়ার থেমে যাওয়া ক্রিকেটারের সংখ্যাও তাই অনেক বাংলাদেশের।
২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে দেশের অভিষেক টেস্টে স্বাভাবিকভাবে অভিষেক হয় ১১ জনেরই। জিম্বাবুয়েতে পরের টেস্টে অভিষেক চারজনের। শুরুর সময়টায় কিছু বুঝে উঠার আগেই অনেককে নিয়ে চলে নিরীক্ষা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে টেস্টে ২১ বছর পার করে দেওয়ার পরও নিরীক্ষা থেকে বেরুতে পারেননি নির্বাচকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।