Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধে বাইডেনকে চাপ অ্যামনেস্টির

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

বিতর্কিত গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চাপ দিলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পূর্বে এ কারাগার বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাইডেন। এখন ক্ষমতায় আসার পর তার ওই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।
কারাগারটি যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ভূমির বাইরে কিউবার গুয়ানতানামো বেতে নির্মিত হয়েছে। ২০০১ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিও বুশের ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ অভিযান শুরুর পর কিউবায় গুয়ান্তেনামো বেতে অবস্থিত দেশটির সামরিক ঘাঁটিতে এ কারাগারটি তৈরি করা হয়। দুই দশক ধরে চলমান যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-এর সময়ে যেসব বিদেশি নাগরিক দেশটির সামরিক বাহিনীর হাতে ধরা পড়তেন তাদেরকে এখানে আটক রাখা হতো। কিন্তু কারাগারটিতে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কঠোর প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয় এমন অভিযোগে বিশ্ব্যব্যপী সমালোচনার মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সমালোচকদের দাবি, যে প্রক্রিয়ায় আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তা বন্দিদের উপর ‘নির্যাতনের শামিল’।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যশনালের নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার প্রোগ্রামের পরিচালক ডাফনে এভিয়াটার বলেন, এই আটককেন্দ্র যতদিন চালু থাকবে ততদিনই এটি বিশ্বব্যপী মানবাধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর প্রায় ৭৮০ জনকে সেখানে বন্দি করে রাখা হয়। আটক হওয়া অনেকের বিরুদ্ধেই অপরাধে যুক্ত থাকার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি। বর্তমানে কেন্দ্রটিতে ৩৯ জন সন্দেহভাজন আটক আছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে টুইন টাওয়ারে হামলার সন্দেহভাজন পরিকল্পনাকারী খালিদ শাইখ মোহাম্মেদও রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে যে, আটক হওয়ার প্রায় দুই দশক পরও মোহাম্মেদ ও তার সাথে আটক আরো চারজন বন্দির বিরুদ্ধে অভিযোগ বিভিন্ন কারণে বিচারপূর্ব অবস্থায়ই আটকে রয়েছে। ৯/১১ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সামরিক আদালতে তাদের বিচার হওয়া কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিচারের কোনো তারিখই নির্ধারণ হয়নি।
জার্মানির অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মাথিয়াস শ্রাইবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় আইন প্রয়োগের অভাব এবং সেখানে সংগঠিত মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়মুক্তির কারণে গুয়ানতানামো বে একটি বিপজ্জনকক নজির হয়ে আছে। সেখানে আটক ব্যক্তিরা সুষ্ঠু বিচারের সুযোগ পাচ্ছেন না। পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ আটককেন্দ্রটি বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান। সূত্র : ডয়চে ভেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গুয়ানতানামো বে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ