Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

দেশে আবারও করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গতকাল শনিবার রাজধানীর ইমপেরিয়াল কলেজের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অমিক্রন বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের ভাবনা জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আছে। রোববার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক আছে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের ধারণা ছিল, মার্চে গিয়ে সংক্রমণ বাড়বে। কিন্তু এখন জানুয়ারির গোড়ায় বাড়তে শুরু করেছে। কাজেই যে পরিকল্পনা, তাতে কিছুটা সমন্বয়ের দরকার হবে। কিন্তু আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না। বরং আমরা চাই প্রত্যেক শিক্ষার্থী যেন করোনার টিকা নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে। সেটিরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হয়তো একটু অসুবিধা হতে পারে, যারা ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থী, তাদের জন্য। সেসব বিষয় নিয়েও আমরা সিদ্ধান্ত নেব। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোববার রাতে ভার্চুয়ালি এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

ঘাটতি পূরণে ব্যবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে দীপু মনি বলেন, দেড় বছরের বন্ধে সবারই ঘাটতি হয়েছে। সেটি পূরণের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঘাটতি পূরণে সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে, বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করানো। কিন্তু অনেকেই যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে চলছেন, তাতে করোনার সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষার ক্ষতিই সবচেয়ে বেশি হবে। তাই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেকে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। এ জন্য এখন সবাইকে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। কারণ, আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এটি সবাইকে মানতে হবে। আমি সবার কাছে আবেদন জানাবো সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বা অন্য যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠান হোক আমরা সবাই যেনও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।

রজতজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোবিলায় প্রযুক্তি জ্ঞানের সঙ্গে সঠিক দক্ষতা থাকতে হবে, সেইসাথে মানসিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ থাকতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় যদি মানসিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ না থাকে তাহলে শিক্ষার্থীকে সেভাবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। আর সে জন্যই আমরা নতুন কারিকুলাম করছি। সেই কারিকুলাম শুধু পরীক্ষা নির্ভর ও সনদ সর্বস্ব নয়, হতে হবে আনন্দময়, দক্ষতা নির্ভর, প্রয়োগ যাতে করতে পারে। শিখলাম পরীক্ষা দিলাম, ভুলে গেলাম কোনও লাভ নেই, যা শিখছি তা যেনও প্রয়োগ করতে পারি বাস্তব জীবনে। সেভাবেই শিখতে হবে।

শিক্ষায় এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নে আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের চতুর্থ শিল্প বিব্লবের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এখন দুনিয়া জুড়ে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের সঙ্গে আমাদের অভ্যস্ত হতে হবে। এই প্রুযক্তির জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে। এই শিল্প বিপ্লবের সফল অংশিদার আমরা হবো, এই প্রত্যয় থাকতে হবে। কারণ আমারা আগের শিল্প বিল্পব ধরতে পারিনি। এবার ধরতেই হবে। আমাদের প্রযুক্তিবান্ধব ও বিজ্ঞান মনস্ক হতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইমপেরিয়াল কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সাজাহান মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

২২ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ