পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর দেশের সব স্কুল-কলেজ আগামী ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ও শতভাগ টিকা নিশ্চিত না হওয়ায় অনেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। আবার কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন।
ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্টে অনেকেই এনিয়ে মন্তব্য করেছেন। কিছু মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও অনেকেই নতুন ঘোষণা অনুযায়ী ১২ সেপ্টেম্বর আদোতে খোলা হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শুক্রবার তার নির্বাচনী এলাকায় এক স্কুলের উদ্বোধন করতে গিয়ে স্কুল-কলেজ খোলার এই ঘোষণা দেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১২ই সেপ্টেম্বর থেকেই খুলে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।"
ফেসবুকে আয়শা আজাদ রুমু লিখেছেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ব শরীরে ক্লাস চালু না করে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক খুলে দেয়ার কোন মানেই হয় না। কারন প্রাথমিকের বাচ্চারা খুব ছোট, তাদেরকে স্বাস্থ্য বিধি মানানো অসম্ভব ব্যাপার, একটা বাচ্চা থেকে শত বাচ্চা আক্রান্ত হবে এবং সাথে তাদের পরিবারও আক্রান্ত হবে। কারন ছোট বাচ্চারা আক্রান্ত হলে তাদেরকে কখনো একা রাখা সম্ভব নয়। আগে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে মিনিমাম ১৫ দিন অবজারভারভেশনে রেখে তারপর মাধ্যমিক খোলা উচিত, এরপর পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক স্তুর খোলা উচিত। অনলাইনে বাচ্চারা ভালোই ক্লাস করছে। সব একসাথে খুলে দিয়ে পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে তখন সামাল দিবে কিভাবে??... প্রত্যেক টা বাচ্চা তাদের বাবা মায়ের জন্য জীবনের সবকিছু, এটা মাথায় রাখতে হবে সরকারকে। তখন দায় কে নিবে?’’
আফসানা সাব্বির ইভা লিখেছেন, ‘‘বুঝলাম না ব্যাপারটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য কান্নাকাটি করছে ইউনিভার্সিটির পোলাপান আর খুলছে ছোট ছোট বাচ্চাদের। একটা বাচ্চা স্কুল দিতে আনতে গার্ডিয়ান যায় অন্তত দুইজন,,,বাচ্চা স্কুল দিতে আর বেড় করতে যে পরিমাণ যুদ্ধ মানে ধাক্কাধাক্কি করা লাগে একজনের গায়ের সাথে লেগে থাকে চৌদ্দ জন আর বাচ্চার নিজের সেফটি কতটা বুঝে যে স্কুল খুলে দিচ্ছে। ভার্সিটি খুলে দেয়া দরকার ছিল আগে সেখানে কি করছে।’’
এইচএম নিজাম উদ্দীন লিখেছেন, ‘‘যে দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে সেই দিন আমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সচক্ষে দেখে তারপর বিশ্বাস করবো। এর আগে সাংবাদিকরা সারা দিন চিৎকার করে বললেও আমি বিশ্বাস করবো না। অনেক ধোঁকা খেয়েছি আর না।’’
নাসির রানার মন্তব্য, ‘‘এখন পর্যন্ত কম বয়সীদের করোনায় আক্রান্ত হবার সংখ্যা কম কারন তাদের সুরক্ষা বলয় ছিল পরিবারের ভিতর থাকার কারণে। ভ্যাকসিন ছাড়া তাদের অবাধ মেলামেশা নতুন করে বিপদের কারন হবে নাতো? প্রাইমারি স্কুল খোলার সিদ্ধান্তটা একটু ভেবে চিন্তে নেয়া দরকার।’’
মুঃ মোরশেদ উদ্দিন চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ আপনারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শ্রেণী কক্ষ ও শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চগুলো দ্রুত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করুন।’’
স্নিগ্ধা শিশির লিখেছেন, ‘‘আরো আগেই খুলে দেওয়া উচিত ছিল শুধু শুধু বিশেষজ্ঞদের ভুলের কারণে শিক্ষার্থীদের জীবনে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।’’
রেজাউল করিমের মন্তব্য, ‘‘দেরীতে হলেও ভালো ডিসিশন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হলেই করোনা সংক্রমণ বাড়ে, এটা যেন আর না হয়।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।