Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭৮ নিহত, ৬৫৪ জন আহত হয়েছেন সিলেট বিভাগে, নিসচা’র প্রতিবেদন প্রকাশ

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২২, ১:২০ পিএম

২০২১ সালের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)। আজ (৮ জানুয়ারি) শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরেন ২০২১ সালের সারাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা পরিসংখ্যান। প্রকাশিত পরিসংখ্যানে
২০২১ সালে সিলেট বিভাগে মোট ৩১৫ টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৭৮ জন ও আহত হয়েছেন ৬৫৪ জন। এর মধ্যে সিলেট ১৩৪ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৯ জন নিহত ও ৩১৩ জন আহত হয়েছেন। সুনামগঞ্জ ৪২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ১৯৩ জন। মৌলভীবাজার ৪২ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ নিহত ও আহত হয়েছেন ৪৬ জন । হবিগঞ্জ ৯৭ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৮ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ১০২ জন ।
নিসচা'র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২০ সালে ১৮৭ টি সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেট বিভাগে ২৫০ জন নিহত ও ৩৯৮ জন আহত হয়েছিলেন। নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্য-সচিব জহিরুল ইসলাম মিশু গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের ১১টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া,অনলাইন পত্রিকার তথ্য, অনুমেয় অনুজ্জ বা অপ্রকাশিত ঘটনা ও নিসচা'র শাখা সংগঠনগুলোর রিপোর্টের ভিত্তিতে নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সারাদেশের তৈরি করেছে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন। প্রতিবেদনে সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং এর অভাব, টাস্কফোর্স কর্তৃক প্রদত্ত ১১১ টি সুপারিশনামা বাস্তবায়ন না হওয়া, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা, বিরতি ছাড়া দীর্ঘসময় ধরে গাড়ি চালনা, সড়ক-মহাসড়কের মোটরসাইকেলও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধি, রাস্তার পাশে হাট বাজার ও দোকানপাট বসানোকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অশিক্ষিত ও অদক্ষ চালক, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন না হওয়া ইত্যাদি মূল কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া প্রতিবেদনে জেলা পর্যায়ে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত লোক সংখ্যা,অপর্যাপ্ত রাস্তা, মোটরসাইকেল ও রিকশার আলাদা লেন না থাকা, পথচারীদের নিয়ম না মানার প্রবণতা, জেব্রাক্রসিং, ওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহার না করে যত্রতত্র পারাপার ও রাস্তা চলাচল ও পারাপারের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করাকে কর হয়েছে দায়ী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ