Inqilab Logo

রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কঠিন সময়ে গার্দিওলা

প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : ঠিক এই চ্যালেঞ্চটাই তার জন্য অপেক্ষা করছিল ইংলিশ ফুটবলে। তিনি নিজেও জানতেন চ্যালেঞ্চটা কঠিন হবে। ম্যানচেস্টার সিটির দায়িত্ব নিয়ে শুরুটাও হয়েছিল সপ্নিল। টানা ছয় ম্যাচে জয়। কিন্তু মধুচন্দ্রিমা একসময় ফুরোয়। তখনই মুখোমুখি হতে হয় বাস্তবতার। গার্দিওলা এখন আছেন ঠিক সেই সময়ে। টানা ৬ ম্যাচ কোন জয়ের দেখা নেই, তিনটিতেই হার। যার সর্বশেষ সংযোজন পরশু রাতে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ১-০ গোলের পরাজয়। ইতিহাস বলছে, এর চেয়ে খারাপ সময় আগে কখনো আসেনি গার্দিওলার কোচিং ক্যারিয়ারে।
ছন্দে ছিল না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও। লিগে চেলসির কাছে এক হালি গোল খাওয়ার টাটকা স্মৃতি নিয়েই ওল্ড ট্রাফোর্ডে দ্বৈরথে নামে রেড ডেভিলরা। তবে ম্যানচেস্টার ডার্বির সেই উত্তাপ ছাড়িয়ে ম্যাচটি রূপ নেয় হোসে মরিনহো-পেপ গার্দিওলার দ্বৈরথে। কদিন আগেও লিগ ম্যাচে হোসেকে তারই মাঠে হারিয়েছিলেন পেপ। কিন্তু এবার আর পারলেন না। দিনটি ছিল হোসের। সব মিলে মরিনহো-গার্দিওলার ১৮ বারের সাক্ষাতে পর্তুগিজ কোচের এটি মাত্র চতুর্থ জয়।
তবে যে উত্তাপের আঁচ যেমনটা অনুমান করা হচ্ছিল মাঠে তেমনটার দেখা মিলল কই! প্রথমার্ধে কোন দল তো গোলমুখেই শট নিতে পারল না। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে জøাতান ইব্রাহিমভিচের বাড়ানো বলে স্বাগতিক দর্শকদের উল্লাসের এমকাত্র উপলক্ষটি এনে দেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার হুয়ান মাতা। পক্ষান্তরে গোলশুণ্য আরেকটা দিন কাটালেন ফ্রান্সে গোলের বন্যা বইয়ে দেওয়া ইব্রা। তবে লাল জার্সিতে এদিনই প্রথম গোলে সহায়তা করলেন ৩৫ বছর বয়সী সুইডিস স্ট্রাইকার। সিটি অবশ্য ঠিকই বলের দখল রেখে একের পরে এক গোলের সুযোগ তৈরী করেছিল। কিন্তু কোন আক্রমণকেই চূড়ান্ত রূপ দিতে পারেননি তারা। এমনকি গোলমুখে একটি শটও নিতে পারেননি ডি ব্রæইনরা! বদলি হিসেবে নেমেও কিছু করতে পারেননি আগুয়েরো। ২০১২ সালের পর যে ঘটনা সিটিতে এই প্রথম। সেটাও ঘটল গার্দিওলার আমলে!
এমন জয় খেলোয়াড়দের আরো আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে বলে মনে করেন মরিনহো, ‘ম্যান সিটির বিপক্ষে জয় আমি মনে করি সবার মধ্যে ভালো একটা অনভুতির যোগান দেবে এবং আমি খুবই ভালো অনুভব করছি খেলোয়াড় ও ভক্তদের কথা ভেবে।’ শিষ্যদের খেলায় খুশি গার্দিওলাও। কিন্তু আক্রমণের শেষটা যে সঠিক হওয়া চায় সেটাই জানান দিলেন স্প্যানিশ কোচ, ‘তরুণ ছেলেরা যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুশি। কিন্তু এই পর্যয়ের খেলায় আপনাকে আরো কৌশলী হতে হবে। তবে ইউনাইটেডের বিপক্ষে শেষ পাসটাই ছিল খুবই কঠিন। আমিও জিততে চাই এবং এজন্য সামনে আমাদের আরো প্রতিযোগিতা বাকি আছে।’ হ্যাঁ, নগর প্রতিদ্ব›দ্বীদের কাছে হেরে সিটির লিগ কাপের যাত্রা আপাতত এই পর্যন্তই।
একই রাতে লন্ডনে আরেক উত্তপ্ত ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি ও ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেড। যে উত্তাপ শুধু মাঠেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ম্যাচ শেষে গ্যালারি থেকে বোতল, কোয়েন এমনকি চেয়ার ভেঙে পর্যন্ত নিক্ষেপ করতে দেখা যেছে সমর্থকদের মাঝ থেকে। ম্যাচটি ছিল ওয়েস্ট হামের নতুন স্টেডিয়ামে। ঘটনার জন্য এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাত জনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। তবে তার চেয়ে বড় খবর হল ম্যাচটি ২-১ গোলে হেরে গেছে চেলসি। ম্যান ইউকে ৪-০ গোলে হারিয়ে উড়তে থাকা অন্তোনিও কোন্তের দলকে এবার মাটিতে নামলো হ্যামাররা।
প্রথমার্ধে বেলজিয়ান ডিফেন্ডার চিখৌ কাউয়াতের গোলে এগিয়ে ছিল ওয়েস্ট হাম। বিরতির ঠিক পর পরই ব্যবধান দ্বিগুন করেন এডিমিলসন ফার্নান্দেস। শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহুর্তে বøুদের হয়ে একটি গোল শোধ দেন গ্রে কাহিল। হারের দায় কিছুটা কোন্তের উপরও এসে পড়ে। দলের সেরা খেলোয়াড় ডিয়াগো কস্তা, এডেন হ্যাজার্ড, পেদ্রো এরা সবাই ছিলেন একাদশের বাইরে। উপায়ন্ত না দেখে দ্বিতীয়ার্ধে সবাইকে মাঠে নামান ইতালি কোচ। কিন্তু তার আগেই যে আসল কাজ সেরে রেখেছিল ¯øাভেন বিøচের দল। দিনের আরেক ম্যাচে সান্ডারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে সাউদাম্পটন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কঠিন সময়ে গার্দিওলা

২৮ অক্টোবর, ২০১৬
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ