নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে টেস্টে নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলাররা ঘেমে-নেয়ে উঠছেন- এমন দৃশ্য সাধারণত দেখা যায় না। সেদিক দিয়ে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নতুন দৃশ্যপটই রচনা করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। আগের দিন মাহমুদুল হাসান জয় আর নাজমুল হোসেন শান্ত ছড়ি ঘুরিয়েছেন। গতকাল ছিল মুমিনুল হক আর লিটন দাসের দিন। তাদের বদৌলতে টানা দুটি দিন স্বপ্নের মতোই কাটল বাংলাদেশের। এবার সেই স্বপ্নের পরিধি বাড়ছে। সেই স্বপ্নে জয় উঁকিঝুঁকি দিলেও নিদেনপক্ষে ড্র-ই চাচ্ছে গোটা দল। কোনোভাবেই মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট হারতে চান না মুমিনুল-লিটনরা।
নিউজিল্যান্ডে টেস্ট ড্র করার সুযোগ বাংলাদেশ দল এর আগেও পেয়েছিল। ২০১৬-১৭ মৌসুমের ওয়েলিংটন টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫৯৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা দিয়েও ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। মুমিনুল হকের এই দলের কাছে সেই ওয়েলিংটনের ভুল দেখতে চান না মাহমুদ। দিনের খেলা শেষে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদের কণ্ঠেও শোনা গেল সেটিই, ‘আমরা টিকে থাকতে চাই, ভালো করতে চাই। জিততে যদি না-ও পারি, আমরা এই টেস্ট ড্র করতে চাই। এখনো ১৮০ ওভার বাকি আছে। এই উইকেটে তাড়াতাড়ি রান করা কঠিন হবে, যদি ভালো বল করি।’ সে জন্য দলটাকে বাড়তি অনুপ্রেরণাও দিচ্ছেন তিনি, ‘দলগতভাবে সবাইকে একটা কথাই বলেছিলাম—আমরা এখানে ১০টা ম্যাচ খেলেছি। একবার ৫৯৫ রান করে ইনিংস ঘোষণার পরও হেরেছিলাম। আমি বলেছিলাম বারবার তো হারতে পারি না। একটা গ্রুপকে তো ভালো করতে হবে। আমরাই যেন সেই কাজটা করতে পারি। প্রক্রিয়া যেন ঠিক থাকে, সাহস নিয়ে খেলতে পারি। এমন কোনো জুজু নেই যে পারব না। আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল আমরা পারব। এই অনুপ্রেরণাই দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
তবে তারুণ্যনির্ভর দলটাকে নিয়ে মাহমুদের ভয় ছিল ঠিকই। তারকায় ঠাসা নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে নবীন বাংলাদেশ দল কেমন করবে, এ নিয়ে মনের কোণে শঙ্কা ছিলই, ‘ভয় ছিল, সত্যি বলতে কি তরুণ একটা দল! সাদমান, জয়, শান্ত, ইয়াসির, লিটন—পাঁচজনই তেমন অভিজ্ঞ নন। তবে প্রত্যেকের ভালো খেলার সামর্থ্য আছে। ছেলেরা অনেক মনোযোগী ছিল, অনেক কষ্ট করেছে, ভালো খেলতে যা করা দরকার, সবকিছু করেছে। সবকিছু ম্যাচটাতে কাজে লেগেছে। আজকের দিনটা ছিল অন্যতম সেরা দিন। চ্যালেঞ্জিং ছিল তবে প্রক্রিয়াটা দারুণ ছিল। দারুণভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। ছেলেরা সত্যিই দারুণ করেছে।’
ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে হলে চতুর্থ দিনের সকালের সেশনেও লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী ও মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে আজকের প্রথম সেশন টিকে থাকার প্রত্যাশা মাহমুদের, ‘কালকের (আজ) সকালটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের হাতে ৪ উইকেট আছে। মিরাজ ও ইয়াসির আছে, ৭৩ রান লিড আছে। আরও ৭০ রান পেলে দেড়শ রানের মতো লিড হবে। তখন আমরা ভালো অবস্থানে থাকব।’
এদিকে, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, মিচেল ওয়াগনার, কাইল জেমিসনরা উইকেট তুলে নিতে ওভারের পর ওভার বল করে যাচ্ছেন- এটা তাদের জন্যও নতুন অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তার বন্দনা চলছে সর্বত্রই। কিউই বোলাররাও গলা মিলিয়েছেন এর সঙ্গে। আগের দিন যেমন ওয়াগনারের প্রশংসা পেয়েছেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। গতকাল পেলেন ট্রেন্ট বোল্টের প্রশংসা। যদিও এদিন মুমিনুল আর লিটনকে ২৯ বলের ব্যবধানে ফিরিয়ে দিয়ে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেছেন বোল্ট। দিনের শুরুর ভাগে তিনি ফিরিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের আরেক সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকেও। বোল্টের মতে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশ, ‘তারা খুবই ভালো খেলছে। ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণও করছে তারা। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা আমাদের স্পেলের পর স্পেল বোলিং করিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। এটাই আসলে টেস্ট ক্রিকেট।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।