বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় অবস্থিত ক্ষুদ্র শাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন আকরাম আলী। রেগে গেলে কিংবা কোনো শিক্ষক তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ালেই তিনি মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরেও উপজেলার ক্ষুদ্র শাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে মারধরের স্বীকার হয়েছেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক সাঈদা ইসলাম।
এর আগে ২০১৮ সালে বিদ্যালয়ের আরেক নারী শিক্ষককে পিটিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক আকরম। তবে তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে কেউ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই ঘটনার প্রতিবাদ করতে পারেননি। প্রধান শিক্ষকের মারধরে গুরুতর আহত শিক্ষককে গোদাগাড়ীর ৩১ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি সম্পর্কে জাগো নিউজের কথা হয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) লাইলা তাসলিমা নাসরিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গর্হিত। নারী শিক্ষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক আকরম আলীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, একটি বিষয় নিয়ে ক্ষুদ্র শাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরম আলীর সঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইদা ইসলামের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক আকরম ওই নারী শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে করে ওই শিক্ষক কান ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষকদের অভিযোগ, স্থানীয়ভাবে তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় থাকায় এবং তার অন্যায় কাজের প্রতিবাদ কেউ না করার কারণে তিনি সকল শিক্ষকের সঙ্গেই এমন মারমুখী আচরণ করেন। তবে তার দাপটের কারণে কেউ মুখ খুলতে ভয় পায়।
এদিকে শিক্ষক সাঈদা ইসলামের অভিযোগ, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্রের জন্য প্রধান শিক্ষক টাকা আদায় করছিলেন। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক সাইদা ইসলামকে কথা বলতে নিষেধ করেন। তিনি না শোনায় এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তাকে বেধরড়ক মারপিট করেন প্রধান শিক্ষক। এদিকে রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, এ ঘটনা আমার জানা নেই। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে যদি এ বিষয়ে অভিযোগ পাঠায় তাহলে অবশ্যই আমি এ বিষয়ে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো। এমন ঘৃণ্য ঘটনার জন্য কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।
জানতে চাইলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দায়ের হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।