নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গৌহাটি-শিলং এসএ গেমস পুরুষ ফুটবলের ফাইনালের পথে ভারতীয় বাধা টপকাতে চায় বাংলাদেশ অলিম্পিক দল। ভারতের প্রতিশোধ নাকি ফের শিরোপার পথে শেষ ধাপে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এমনই সমীকরণ থাকছে আজকের পুরুষ ফুটবলে দু’দলের মধ্যে। ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে বেলা দু’টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
২০১০ ঢাকা এসএ গেমসে ভারতকে ০-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। ছয় বছর পর আবার এসএ গেমেস ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে লাল সবুজের দল। এবারও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সেই ভারত। স্বাগতিক হওয়ায় বাংলাদেশকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নেয়ার মোক্ষম সুযোগ তাদের সামনে। শিরোপা ধরে রাখার মিশন ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার মাঠে হাল্কা অনুশীলন করেন রায়হানরা। তিন দিনের ব্যবধানে গ্রæপ পর্বে দু’টি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তাই সেমিফাইনালের আগের দিন অনুশীলনে ঝালিয়ে নেয়াই মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের কোচ গঞ্জালো সানচেজ মারিনোর কাছে, ‘খেলোয়াড়দের মধ্যে কিছুটা ক্লান্তিও রয়েছে। আজ (গতকাল) সারাদিন রিকভারিতেই ব্যয় হবে।’ কিছুটা ক্লান্তি থাকলেও ইনজুরি বা কার্ডজনিত সমস্যা নেই বাংলাদেশ শিবিরে।
বি-গ্রæপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হলেও ফুটবলারদের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয়। বল পজেশন, নিয়ন্ত্রণ, পাসিং সব কিছুতেই গলদ। সেমিফাইনালে অবশ্য এর ক্রুটি রাখতে চান না কোচ মারিনো। তার কথায়, ‘সেমিফাইনালে আমরা নিয়ন্ত্রিত ফুটবল খেলতে চাই। নক আউট পর্বে সামান্য ভুলেই বড় বিদপ ডেকে আনতে পারে।’ গান্ধী স্টেডিয়ামে একটু উন্নতমানের ফুটবল প্রদর্শনের আশ্বাসই দিচ্ছেন মারিনো, ‘সাই গ্রাউন্ডের তুলনায় এই স্টেডিয়ামের মাঠ অনেক ভালো। এই মাঠে আমরা আরো ভালো খেলব।’
অনূর্ধ্ব ২৩ পর্যায়ে বাংলাদেশ ও ভারত এখন পর্যন্ত পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় একটি, দু’টি করে হার ও ড্র রয়েেেছ। কোচ গঞ্জালো মারিনো অবশ্য রেকর্ড ও প্রতিপক্ষের চেয়ে নিজের দলকে নিয়েই বেশি ভাবনায় আছেন। তার কথা, ‘আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে চাই। ভারত যথেষ্ট ভালো দল। নিজেদের মাঠে ভারতকে মোকাবেলা করা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। হোম অ্যাডভান্টেজ ও সমর্থন তাদের পক্ষেই থাকবে।’ ২০১৪ সালে ভারতের গোয়াতে দুর্দান্ত অভিষেক হয়েছিল হেমন্তের। এর পর থেকে জাতীয় দলের একাদশে তার স্থান নিশ্চিত। তবে এবারের গেমসে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না এই মিডফিল্ডার। কারণ সম্পর্কে এই হেমন্তের কথা, ‘পারিবারিক কারণে আমার পারফরম্যান্সে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আমার বাবার হার্টে বøক। এজন্য মানসিক ভাবে কিছুটা দুর্বল। ভারতে আমার অভিষেক। ভারতের বিপক্ষে আমি ভালো খেলি। এটা বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’
অন্যদিকে পুরুষ ফুটবলের মতো মহিলা ফুটবলেও আজ ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবেন মাইনু মারমারা। কাকতালীয়ভাবে পুরুষ ফুটবলের মতো এখানেও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। মহিলা ফুটবল রাউন্ড রবিন লীগ হওয়ায় বাংলাদেশ কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে। স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে ড্র করলেই ১৫ ফেব্রæয়ারি নেপালের বিরুদ্ধে স্বর্ণপদকের লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ। তবে হারলে ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে লাল সবুজের মহিলা ফুটবলারদের
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।