নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন আগেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই সিরজটিই হবে সাদা পোষাকে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের শেষ সিরিজ। গতকাল তার শুরুটা হলো বিষাদে ভরা। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টানা শততম টেস্ট খেলতে নামছেন, ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভ পার্কে তখন হর্ষধ্বনির তুমুল কোরাস। কিন্তু কে জানত, এমন একটা ম্যাচে প্রথম ইনিংসের আয়ু মাত্র সাত বলের হবে!
ওয়েলিংটনের সবুজে ঢাকা উইকেট সকাল থেকেই পেসারদের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছে সাহায্যের হাত। টসে জিতে ফিল্ডিং নিতে দুবার ভাবেননি অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ, বোলাররাও তাঁর আস্থার প্রতিদান শুরু থেকেই দেওয়া শুরু করেছেন। ম্যাককালাম যখন ক্রিজে এলেন, ৪৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড বিপদে। মার্টিন গাপটিল (১৮), টম ল্যাথাম (৬) ও কেন উইলিয়ামসন (১৬)- তিনজনই আউট হয়েছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। কোথায় বিপদ থেকে দলকে টেনে তুলবেন, ম্যাককালাম নিজেই বাকি তিনজনের পথে খুব তাড়াতাড়িই হাঁটলেন। প্রথম ছয় বলে কোনো রান পাননি। নিজের মুখোমুখি সপ্তম বলেই সর্বনাশ ম্যাককালামের। সকালে দুর্দান্ত বল করে যাওয়া জশ হ্যাজলউডের বলটা কিউই অধিনায়কের ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় সিøপে। তৃতীয় সিøপে ক্যাচটা নিতে ভুল করেননি ডেভিড ওয়ার্নার। তাতেই গড়া হলো আরেক ‘ইতিহাস’, যেটি ম্যাককালাম চাননি নিশ্চয়ই।
শততম টেস্টে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পর একটি বিরল রেকর্ডও নাম উঠে গেল ম্যাককালামের। ইতিহাসে এত এত ক্রিকেটারের মধ্যে ১০০ টেস্ট খেলার সৌভাগ্যই এর আগে হয়েছে মাত্র ৬৩ জনের। এঁদের মধ্যে শততম ম্যাচটি অধিনায়ক হিসেবে খেলতে নেমে শূন্য মেরেছিলেন মাত্র পাঁচজন। সংখ্যাটি ‘ছয়’ বানিয়ে দিলেন ম্যাককালাম। অধিনায়কদের বাইরে শততম টেস্টে শূন্য করেছেন আর একজনই, কোর্টনি ওয়ালশ। সব মিলিয়েই শততম টেস্টে শূন্য মাত্র সাতজনের। অধিনায়কের ইতিহাস গড়া ম্যাচের প্রথম দিনে দলও তথৈবচ। ১৮৩ রানে অলআউট হয়েছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৩ উইকেটে ১৪৭ করেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে ৩৬ রানে। উসমান খাজা ৫৭ রানে অপরাজিত। অন্য অধিনায়ক কিন্তু আলো ছড়ালেন। স্টিভ স্মিথ ৭১ রান করে আউট হয়েছেন।
অধিনায়ক হিসেবে শততম টেস্টে ডাক মেরেছেন দিলীপ ভেংসরকার, অ্যালান বোর্ডার, মার্ক টেলর, স্টিভেন ফ্লেমিং ও অ্যালিস্টার কুক। ম্যাককালামের পূর্বসূরি হিসেবে ফ্লেমিংয়ের উচিত সান্ত¡না দেওয়া। অবশ্য ফ্লেমিংকে দ্বিতীয় ইনিংসে অনুসরণ না করলেই ভালো হবে। ফ্লেমিং যে সেবার আরেক ইনিংসে করেছিলেন ৬। ম্যাককালাম বরং একই টেস্টে শূন্য ও সেঞ্চুরির রেকর্ডটা দিয়েই স্মরণীয় করে রাখতে পারেন ম্যাচটি। তবে এর আগে অস্ট্রেলিয়াকে তো নাগালের মধ্যে রাখতে হবে! বড় লিডের দিকেই যে ছুটছে তাসমান প্রতিবেশীরা।
অস্ট্রেলিয়াও নিউজিল্যান্ডের মতো বিপর্যয়ে পড়বে বলেই মনে হচ্ছিল। ৫ রানের ভেতরেই ফিরে গিয়েছিলেন দুই ওপেনার জো বার্নস ও ওয়ার্নার। এরপর হাল ধরেছেন খাজা ও স্মিথ। তৃতীয় উইকেটে দুজনের ১২৮ রানের জুটিতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্মিথ ৭১ রানে আউট হয়ে গেছেন, খাজা অপরাজিত আছেন ৫৮ রানে। ক্যারিয়ারের পুনর্জন্ম হওয়ার পর গত তিন টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন খাজা। এবারও কি সেই পথেই ছুটছেন?
অভিষেক থেকে টানা সবচেয়ে বেশি টেস্ট
ক্রিকেটার ম্যাচ শুরু শেষ
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (নিউজিল্যান্ড) ১০০* ১০ মার্চ, ২০০৪ চলছে
এবি ডি ভিলিয়ার্স (দ.আফ্রিকা) ৯৮ ১৭ ডিসেম্বর, ২০০৪ ০২ জানয়ারি, ২০১৫
অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (অস্ট্রেলিয়া) ৯৬ ০৫ নভেম্বর, ১৯৯৯ ২৪ জানুয়ারি, ২০০৮
রাহুল দ্রাবিড় (ভারত) ৯৪ ২০ জানুয়ারি, ১৯৯৬ ১০ ডিসেম্বর, ২০০৫
শচীন টেন্ডুলকার (ভারত) ৮৪ ১৫ নভেম্বর, ১৯৮৯ ১৪ নভেম্বর, ২০১৩
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।