মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মাত্র ১২ মিনিট স্থায়ী হলো পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন। শুক্রবার এই অধিবেশন শুরু হয়ে এরপরই অনির্দিষ্টকালের জন্য তা মুলতবি হয়ে যায়। তবে এর ফলে সম্প্রতি উত্থাপিত বিতর্কিত ফাইন্যান্স সাপ্লিমেন্টারি বিল-২০২১ এর ভাগ্য ঝুলেই রইলো। তবে সরকার মনে করছে, মধ্য জানুয়ারিতে অধিবেশন যখন আবার শুরু হবে, তখন সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে মসৃণভাবে পাস হবে এই বিল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অংশ হিসেবে বিলটি পাঠানো হয়েছে সিনেটে। সেখান থেকে বিলটি ১৪ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ অনুমোদন দেয়া হবে। তারপরই তা ফেরত আসবে জাতীয় পরিষদে।
পাকিস্তানকে ১০০ কোটি ডলারের ঋণ দেয়ার কথা রয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল আইএমএফের। ১২ই জানুয়ারি এ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগেই অথবা পরে এই বিলটি পাস হতে পারে। তাতে ফাইন্যান্স সাপ্লিমেন্টারি বিল ২০২১-এর সব শর্ত এবং স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানকে স্বায়ত্তশাসন অনুমোদন সংক্রান্ত বিষয়ে আইএমএফকে আশ্বস্ত করতে হবে পাকিস্তানকে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতায় অগ্রগতি হবে। শুক্রবার ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির সভাপতিত্বে শুরু হয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন। কিন্তু বিরোধী দলের একজন সদস্য কোরাম সংকটের কথা তুলে ধরার কয়েক মিনিটের মধ্যেই অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায়। জাতীয় পরিষদের সচিবালয়ের সূত্রগুলো বলেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ বিলটি উত্থাপন করার পরের দিনই অধিবেশনে কোরাম সংকট অপ্রত্যাশিত। ফলে বিলটির পরিণতি কী হবে তা অনিশ্চিত অবস্থায় রেখেই অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে।
সরকারের মিত্র এমন গুরুত্বপূর্ণ দুটি অংশীদার বলেছেন, তারা এই বিলটি নিয়ে অসন্তুষ্ট। এই বিল মিনি বাজেট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, ওই দুই মিত্রও বুধবার মন্ত্রিপরিষদের বিশেষ বৈঠকে বিলটি অনুমোদন করেছেন। মন্ত্রিপরিষদে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদ এবং মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের দু’জন করে মন্ত্রী আছেন সরকারে। তারা এ বিল অনুমোদন দিয়েছেন। পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বিলটির ভাগ্য ঝুলে গেছে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। পরের অধিবেশনে তা পাস হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সূত্র : অনলাইন ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।