মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন সামরিক বিশেষজ্ঞদের জ্ঞান দিতে চান যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরাকের মসুলে জেহাদি সংগঠন আইএসের ওপর হামলাকে ব্যর্থ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সামরিক কৌশলে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এবিসি টেলিভিশনের সাংবাদিক জর্জ স্টেনোপলিসকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সামরিক বিশেষজ্ঞরা আমার সঙ্গে বসলে আমি কিছু বিশেষ জ্ঞান দিতে পারি। গত রোববার ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বলেছিলেন, ইরাকের মসুলে মার্কিন হামলায় চরম বিপর্যয় ঘটেছে। তিনি বলেন, মসুলে হামলার জন্য এক মাসের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ট্রাম্পকে ভোট দিন এবং আবার জয়লাভ করুন। ট্রাম্প বলেন, নোটিশ দিয়ে হামলার চেয়ে সামরিক অভিযানের বেলায় আকস্মিকতা অপরিহার্য।
এবিসি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিন মাস ধরে শুনছিলাম, ইরাকের মসুলে হামলা করা হবে। তাঁর প্রশ্ন, আগাম কথা বলে সামরিক হামলা কেন হবে? আগাম ঘোষণার কারণেই মসুল থেকে আইএস জেহাদিরা পালিয়ে গেছে বলে তিনি মনে করেন। আগে থেকেই আইএস মসুলে শক্ত প্রতিরোধও গড়ে তুলেছে বলে ট্রাম্পের অভিযোগ। ইরাকে মার্কিন সামরিক অভিযানের ব্যর্থতার জন্য ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনকে দায়ী করেন। তাঁর দাবি, মসুল যুক্তরাষ্ট্রের দখলে ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনের নীতির কারণে সেখানে শূন্যতা দেখা দেয়। ফলে মসুল আইএসের দখলে চলে যায়।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন না যে হঠাৎ করে হামলা আইএসের ক্ষেত্রে কার্যকর। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার এবিসি টিভিকে দেওয়া এক পৃথক বক্তব্যে বলেছেন, মসুলে মার্কিন সামরিক অভিযান পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে যাচ্ছে। অগ্রগতি উৎসাহব্যঞ্জক এবং আই এস অবশ্যই নিশ্চিহ্ন হবে। মার্কিন ওয়ার কলেজের ডিন জেফ ম্যাকসল্যান্ড নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, সামরিক কৌশল সম্পর্কে ট্রাম্পের কোনো ধারণা নেই। তবে এতে পিছ-পা হননি ট্রাম্প। বলেছেন, এসব বিশেষজ্ঞর সঙ্গে বসলে তিনি সামরিক কৌশল বিষয়ে জ্ঞান দিতে পারবেন।
অপর এক খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরে গেলে সশস্ত্র বিপ্লবের (আর্মড রেভ্যুলুশন) ডাক দিতে পারেন সাবেক রিপাবলিকান জো ওয়ালশ। তার এক টুইটারে এমন প্রচ্ছন্ন হুমকি দেয়া হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্টের ইলিনয়ের সাবেক টি পার্টি কংগ্রেসম্যান। বর্তমানে রক্ষণশীল একটি রেডিও টকশো উপস্থাপক। তিনি টুইটারে লিখেছেন ৮ নভেম্বর আমি ট্রাম্পকে ভোট দিচ্ছি। ৯ নভেম্বর যদি দেখি ট্রাম্প হেরে গেছেন তাহলে আমি বন্দুক হাতে তুলে নেবো। আপনি আছেন তো? এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। এতে বলা হয়েছে এমন টুইটের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর এক হুমকি দিয়েছেন। তবে এটাই প্রথম নয়। তিনি এর আগেও এমন হুমকি দিয়েছেন।
ডালাসে গোলাগুলির পর তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিষয়েও এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। টুইটারে সর্বশেষ করা ওই মন্তব্যের বিষয়ে তার সঙ্গে টুইটারে যোগাযোগের চো করে সিএনএনের সাংবাদিক জ্যাক ট্যাপার। তিনি ওয়ালসের কাছে জানতে চানÑ তিনি ওই টুইটের মাধ্যমে আসলে কি বুঝাতে চেয়েছেন? এর জবাবে ওয়ালস বলেছেন, এর মাধ্যমে আমি প্রতিবাদের কথা বোঝাতে চেয়েছি। এর মধ্য দিয়ে জন অসন্তোষে অংশ নেয়ার কথা বুঝিয়েছি। আমাদের দেশকে পশ্চাতে নিয়ে যাওয়ার যে চো তার প্রতিবাদ বুঝিয়েছি। তবে তার ওই টুইটের নিন্দা জানিয়েছেন অস্ত্র সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক ব্রাডি ক্যাম্পেইন টু প্রিভেন্ট গান ভায়োলেন্সের প্রেসিডেন্ট ড্যান গ্রোস।
তিনি বলেছেন, জো ওয়ালস অব্যাহতভাবে যে সহিংসতামুলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন তার কোনো স্থান নেই আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশে। এর আগে ডালাসে পুলিশ অফিসারদের ওপর গ্রীষ্মে গুলি চালানোর সময়ও তিনি টুইট করেছিলেন। লিখেছিলেন, ডালাসের ৩ পুলিশ নিহত। আহত ৭। এখন এটা একটা যুদ্ধ। ওবামাকে দেখ। আমাদের কালো জীবন (ব্লাক লাইভস) দেখ। আপনার সামনে প্রকৃত আমেরিকা বেরিয়ে আসছে। ওই সময় জো ওয়ালস সিএনএনের ডন লেমোনকে বলেছিলেন, তিনি তার বক্তব্যের পক্ষে অনড়। যদি আমরা ওই টুইট থেকে বেরিয়ে আসার চো করি তাহলে টুইটারই বলে দেবে আপনার একমাত্র পথ। তবে ওই সময় জো ওয়ালসের এ বক্তব্যের জবাবে ট্ইুটার কিছু বলে নি। তারা নিজেদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার কারণে এমনটা করেছে। টুইটারের পলিসি তুলে ধরে এর একজন মুখপাত্র নু ওয়েক্সলার বলেছেন, টুইটার ব্যবহারকারীরা এটা ব্যবহার করে সহিংসতা বা হুমকি দিতে পারেন না। সন্ত্রাসী হুমকি বা উস্কানি দিতে পারেন না। সিএনএন, বিবিসি, এবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।