পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে ডেকেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। এই সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা আগেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি। তবে গতকাল শনিবার সংলাপে অংশগ্রহণে অপারগতার কথা জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি দিয়েছে দলটি। চিঠিতে তারা জানিয়েছে, গত দুইবার সংলাপে অংশগ্রহণের পর তাদের নতুন করে আর বলার কিছুই নেই।
গত শনিবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংলাপে অংশগ্রহণের বিষয়ে অপরাগতা জানিয়ে তারা প্রেসিডেন্টের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। ইসি নিয়োগে মতবিনিময়ের জন্য বঙ্গভবনে আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় সিপিবির সঙ্গে সংলাপের সময়সূচি নির্ধারণ করা ছিল।
প্রেসিডেন্টকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, সিপিবি নির্বাচনের আমূল সংস্কারের জন্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বসহ ৫৩টি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের সুপারিশমালা ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে আপনার কাছে প্রদান করেছিল। এই অবস্থায় হুবহু একই আলোচ্য সূচিতে ও একই প্রকরণের আরেকটি সংলাপে যোগ দিয়ে সিপিবির নতুন কোনো কথা বলার নেই। সে কারণে তাতে যোগদানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি না।
সংলাপে আমন্ত্রণ জানানোয় সিপিবি নেতাদের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন। কিন্তু অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সেটাই যথেষ্ট নয়। কমিশনের মৌলিক গলদ দূর করতে না পারলে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না।
চিঠিতে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য সংবিধানসম্মতভাবে একটি নির্বাচন কমিশন মনোনীত করা জরুরি জানিয়ে দ্রুত আইন প্রণয়নের তাগিদ দেওয়া হয়। আপনার কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ আপনি জাতীয় সংসদকে জরুরি বার্তা পাঠিয়ে আগামী মাসের ভেতরে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করে তা স্বাক্ষরের জন্য আপনার কাছে পাঠাতে বলুন। তাহলে নির্বাচন কমিশন মনোনয়নের আগে সে বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আপনার বৈঠকের প্রয়োজন পড়বে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।