Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

প্রশ্ন : আমার বাবার বিভিন্ন বদভ্যাসের কারণে আমি প্রায়ই তার সাথে কথা কাটাকাটি করি। মাঝে মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যায়। আমি চাকরি করি, কিন্তু অভিভাবকের কষ্ট হবে বলে আলাদা হতে পারছি না। এমতাবস্থায় কি করণীয় বলবেন প্লিজ।
উত্তর : পিতার যত বদভ্যাসই থাকুক, তার সাথে কথা কাটাকাটি করা চলবে না। সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার তো প্রশ্নই উঠে না। সন্তানের জন্য এটাই আল্লাহর বিধান। আল্লাহর সাথে যেরকম গোলামির সম্পর্ক কোনো কারণেই ছিন্ন করা যায় না। বান্দাদের মধ্যে পিতা-মাতাও এমন যে, তাদের সাথে সন্তানের সম্পর্ক ছিন্ন করা যায় না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা আমার সাথে কাউকে শরিক করো না। আর পিতা-মাতার সাথে সর্বোচ্চ সদাচরণ করো।’ আপনি ধৈর্য নম্র আচরণ ও দোয়ার মাধ্যমে আমৃত্যু চেষ্টা চালিয়ে যান। আপনার আব্বার (আপনার ভাষায়) বদভ্যাসগুলো দূর হওয়ার জন্য। তিনি খারাপ ব্যবহার করলেও আপনি মাটির মতো শয়ে যান। কথা কাটাকাটি করবেন না। নিজে চাকরি করলেও তাদের ছেড়ে যাবেন না। প্রয়োজনে দূরে থাকতে হলেও তাদের সাথে সদাচরণ করতে থাকবেন। এভাবে চলাই আপনার জীবনের স্বার্থকতা।
প্রশ্ন : বাইরে হোটেলে মুরগি/খাসি/গরু ইত্যাদি খাচ্ছি। জানি না এগুলো কতটা হালাল। এগুলো খেয়ে কি গোনাহের ভাগী হচ্ছি?
উত্তর : যদি সন্দেহ প্রবল হয়ে নিশ্চয়তার কাছাকাছি চলে যায়, তাহলে না খাওয়াই ভালো। তবে সন্দেহ প্রবণতা প্রশংসনীয় নয়। মানুষকে, সমাজকে ও পরিবেশকে বিশ্বাস করাই স্বাভাবিকতা। মুসলিম দেশে, মুসলিম প্রধান এলাকায় জবাই করা হালাল পশু খাওয়া জায়েজ। সন্দেহ পোষণ করাই বরং বাড়াবাড়ি। বাংলাদেশে হোটেল রেস্তোরাঁয় গোশত খাওয়া গোনাহের কাজ বলে বিবেচিত হবে না। অবশ্য কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে নিশ্চয়ই এসব থেকে দূরে থাকবেন।
প্রশ্ন : পবিত্র কোরআন মাজিদে আল্লাহ তায়ালা নিজেকে বেশিরভাগ জায়গায় ‘আমরা’ বলে সম্বোধন করেছেন। কিন্তু আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তাহলে তিনি নিজেই নিজেকে ‘আমরা’ বলছেন কেন? বুঝিয়ে বলবেন কি?
উত্তর : এটি আরবী বাক রীতির অংশ। সেখানে এক ব্যক্তি ‘আমি’ বলে। মহান অর্থে ‘আমি’র জায়গায় ‘আমরা’ও বলে। এটা কেবল কোরআন শরীফে নয়, আরবী সাহিত্যে প্রচুর দেখা যায়। যেমন, একজনকে বলা হয় ‘আলাইকা’ কিন্তু আমরা সালামের সময় বলি ‘আলাইকুম’। যার অর্থ ‘আপনাদের ওপর’। বাংলায় তরজমার সময় কোরআনের আল্লাহ যেভাবে বলেছেন সেভাবেই করা কর্তব্য। যেখানে আল্লাহ নিজেকে ‘আমি’ বলেছেন, সেখানে আমি। যেখানে ‘আমরা’ বলেছেন, সেখানে ‘আমরা’ বলাই শুদ্ধ। এই ‘আমরা’ বহু বচনের জন্য নয়। মহত্বের জন্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ