পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর আহ্বানে বুধবার ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গাদের ক‚লে ভিড়তে দিতে সম্মত হওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘ। এটিকে ‘মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের বিজয়’ হিসেবে দেখছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। এর আগের দিন গত মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, নৌকায় থাকা ১২০ রোহিঙ্গাকে তারা খাবার, পানি ও ওষুধ সরবরাহ করবেন। তবে আন্তর্জাতিক অনুরোধ রেখে তাদের শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করা হবে না। বুধবার স্থানীয় দুই জেলে বলেন, উপকূলে আটকে থাকা নৌকাটি কয়েক দিনের মধ্যে ডুবে যেতে পারে। নৌকাটির দুই জায়গায় ফুটো হয়ে গেছে। সেখানে পানিও ঢুকে পড়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্দোনেশিয়ার প্রতি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার ইন্দোনেশিয়ার নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আর্মড বিজয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, মানবতার খাতিরে আজ ইন্দোনেশীয় সরকার বিরুয়েন উপকূলে ভাসমান রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে। নৌকায় থাকা শরণার্থীদের জরুরি অবস্থা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইন্দোনেশীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউএনএইচসিআরের জাকার্তা প্রতিনিধি অ্যান মেইম্যান। তার মতে, এতে মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের বিজয় হয়েছে। মেইম্যান বলেন, আমরা ইন্দোনেশিয়া সরকারের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ। এমন সিদ্ধান্ত অন্যদের নিতে দেখি না। এটি এশিয়া প্যাসিফিকসহ বিশ্বের অন্য অঞ্চল, যেখানে নৌকাগুলোকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাদের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ। ২০১৭ সালে মিয়ানমার সরকার ও দেশটির সামরিক বাহিনীর বর্বর নির্যাতন-নিপীড়নের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে থেকেই এ দেশে আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। বাংলাদেশের মতো ছোট আয়তনের জনবহুল দেশের পরিবেশ ও অর্থনীতির ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করেছে এই শরণার্থী সমস্যা। এই সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মহলের নানা প্রতিশ্রুতি থাকলেও তাদের সহায়তা দিন দিন কমছে। রয়টার্স, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।