নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : দেশের ব্যাডমিন্টনে আবির্ভাব ঘটেছে তিন সার্ভিসেস দলের। যদিও ঘরোয়া আসর রকল্যান্ড সামার ওপেনে এই প্রথমবারের মতো খেলছে দু’টি সার্ভিসেস দল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এর আগে দুয়েকটি টুর্নামেন্টে খেললেও পুলিশ এবারই প্রথম এসেছে ব্যাডমিন্টনে। অন্যদিকে আনসার ব্যাডমিন্টনে আসার উদ্যোগ নিচ্ছে। এই তিন বাহিনী ব্যাডমিন্টনে আসার ফলে বেশ ক’জন শাটলারের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন অনেকটা নির্ভার হতে সার্ভিসেস দলগুলোকে ধরে রাখতে নানা রকম পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে। আর তাই তারা প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ লিগ এবং সামার ওপেন ছাড়াও বেশ ক’টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ ব্যাডমিন্টনে এই তিন বাহিনী এবং তাদের খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে হলে বেশি বেশি খেলা আয়োজনের কোন বিকল্প নেই ফেডারেশনের সামনে।
দেশের সনামধন্য নারী শাটলার বৃষ্টি, নাবিলা, ইরিনা, লাকী ও সঞ্চিতা দেড় বছর আগে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের কোটায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। তাদের নিয়েই গেল বছর সিনিয়র ও জুনিয়র জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল সেনাবাহিনী। এবার এই সংস্থায় যোগ দিয়েছেন সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এলিনা খানও। ফলে চলমান রকল্যান্ড সামার ওপেনে ১৮ খেলোয়াড়ের সমন্বয়ে গড়া দল নিয়ে অংশ নিচ্ছে সেনাবাহিনী। সামার ওপেনে বাংলাদেশ পুলিশ খেলছে ১০ জনের দল নিয়ে। সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এনায়েত, শুভ ও তুষার সংস্থাটির সঙ্গে সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। বাকি সাত শাটলার পুলিশের নিজস্ব সদস্য। অন্যদিকে বাংলাদেশ আনসারও তাদের ব্যাডমিন্ট দল গড়তে উঠে-পড়ে লেগেছে। বর্তমান জাতীয় চ্যাম্পিয়ন শাপলা আক্তারসহ আরো পাঁচ-ছয় শাটলারের আনসারের কর্মী হিসেবে যোগ দেয়া অনেকটাই নিশ্চিত। তবে আনসারের সঙ্গে এখনো চুক্তি না হওয়ার কারণে সামার ওপেনে কাওয়াসাকি ব্যাডমিন্টন ক্লাবের হয়ে খেলছেন শাপলা।
এদিকে এক সময় এনায়েত-এলিনা জুটি এক হয়ে বিভিন্ন আসর মাতালেও সামার ওপেনে তারা আলাদা দলের হয়ে খেলছেন। ব্যক্তিগত জীবনে দু’জন স্বামী-স্ত্রী হলেও এনায়েত ও এলিনাকে দু’দলের প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যাচ্ছে। দু’জনের সংসার জীবন এক হলেও কর্মস্থল দু’দিকে। যদিও দু’জনেই বাহিনীতে রয়েছেন। এনায়েত পুলিশের কোচ কাম-ম্যানেজার। এলিনা সেনাবাহিনীর শাটলার। ঘরে বন্ধু হলেও এখন হয়তো কোর্টে তারা প্রতিপক্ষও হবেন। এ প্রসঙ্গে এনায়েত বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন আমাদের রক্তে মিশে রয়েছে। তাই দু’বাহিনীতে হলেও আমরা খেলাটাকে ছাড়তে পারিনি। তারপরও এই চাকরির মাধ্যমে আমাদের নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা খুশি।’ এলিনারও কথা একই।
গতকাল রকল্যান্ড সামার ওপেনের মহিলা এককের কোয়ার্টার ফাইনালে জয় পেয়েছেন সেনাবাহিনীর এলিনা, বৃষ্টি, ইরিনা ও কাওয়াসাকি ক্লাবের শাপলা। এলিনা ২১-১৩ ও ২১-৭ পয়েন্টে কাওয়াসাকি ক্লাবের দুলারীকে, বৃষ্টি ২১-১৭ ও ২১-৬ পয়েন্টে বিডিসি’র উর্মিকে, ইরিনা ২১-১৬ ও ২১-১৪ পয়েন্টে নিজ দল সেনাবাহিনীর রেহানাকে এবং শাপলা ২১-১৫ ও ২১-১৬ পয়েন্টে সেনাবাহিনীর নাবিলাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠেন। আজ দু’টি সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।