প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
‘ঢাকাই সিনেমার ড্যাশিং হিরো’ সোহেল রানা আইসিইউতে। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৫ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান ও সোহেল রানার স্ত্রী জিনাত বেগম।
সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘আমাদের সবার প্রিয় নায়ক, প্রযোজক এবং পরিচালক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা আইসিইউতে। উনার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন।’
অন্যদিকে, জিনাত বেগম বলেন, ‘আমার কিছু বলার শক্তি নেই। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। কী যে হয় কিছুই জানি না।’ কয়েক দিন ধরে জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন সোহেল রানা। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করান। জানতে পারেন, তিনি করোনা পজিটিভ। ২৫ ডিসেম্বর রাতে তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তিনি আরও বলেন, গত ২৫ ডিসেম্বর করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানা। চিকিৎসকেরা তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। সব ধরনের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হচ্ছে। খাওয়াদাওয়া করতে তার কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন কম। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন ধরে জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন সোহেল রানা। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে তার করোনা পজিটিভ আসে। ২৫ ডিসেম্বর রাত থেকে সোহেল রানা ভর্তি আছেন রাজধানীর এভারকেয়ার হসপিটালে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ওরা ১১ জন ছবির প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন মাসুদ পারভেজ। এটি পরিচালনা করেন চাষী নজরুল ইসলাম। ১৯৭৩ সালে সোহেল রানা নাম ধারণ করে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র মাসুদ রানার একটি গল্প অবলম্বনে মাসুদ রানা ছবির নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একই ছবির মাধ্যমে তিনি মাসুদ পারভেজ নামে পরিচালক হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি বহু কালজয়ী সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তিনবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০১৯ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পান সোহেল রানা।
চলচ্চিত্র জগতের বাইরে রাজনীতিতেও সোহেল রানার বিচরণ ছিল। ১৯৬১ সালে কলেজে পড়তেন সোহেল রানা। তখন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর চলতি বছরের অক্টোবরে তিনি এই পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।