পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন এবং আইন প্রণয়নসহ ৬টি প্রস্তাব তুলে ধরেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ ৬টি লিখিত প্রস্তাব তুলে ধরে। বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপ থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ‘বিএনপি ইসি গঠনে এই সংলাপ নাটক’ দাবি করছে এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন বলেন, বিএনপিই প্রমাণ করুক, সংলাপ নাটক কি না?
রাশেদ খান মেনন বলেন, আমরা প্রেসিডেন্টকে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছি। প্রেসিডেন্ট আলোচনাকালে আমাদের জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন হওয়া উচিত। তিনি আইন প্রণয়নের ব্যাপারে ইতিবাচক। ইসি গঠন বিষয়ে আইন করা সম্ভব। প্রেসিডেন্ট উদ্যোগ নিলেই এটি হয়। কারণ এটি জাতীয় দাবি।
আইন না করে ইসি গঠন করা হলে আপনারা নির্বাচনে যাবেন কি না? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনমুখি দল, নির্বাচনে যাব। এর থেকে কঠিন সময়েও আমরা নির্বাচনে গেছি। রাজনীতি এখন আর রাজনীতিবিদদের হাতে নেই। সংসদেও সেই একই অবস্থা।
চলমান ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ইউপি নির্বাচনে একেকজন প্রার্থীর কোটি টাকার ওপরেও খরচ হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে যদি এই খরচ হয় তাহলে জাতীয় নির্বাচনে কী হবে?
তত্ত¡াবধায়ক সরকার কিংবা তদারকি সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবি বিষয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, তত্ত¡াবধায়ক সরকারের বিধান তো বাতিল হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়টি তো সংশোধনীর মাধ্যমে এসেছে। এ ছাড়া গত নির্বাচন তো দলীয় সরকারের অধীনেই হয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির লিখিত প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছেÑ নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাই এর প্রতি তদ্র‚প মান্যতা ও মর্যাদা থাকতে হবে যাতে করে নির্বাচন পরিচালনা, তত্ত¡াবধানে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণমুক্ত স্বাধীন পরিবেশে কাজ করতে পারে। সংবিধানের ১১৮ বিধি বাস্তবায়নার্থে আইনের বিধানাবলি অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন তৈরি করতে হবে। এই আইন অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনাররা নিয়োগের জন্য নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল থাকবে। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলের নেতা, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে এই সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠিত হবে। এই সাংবিধানিক কাউন্সিল প্রেসিডেন্টের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাব করবেন। প্রেসিডেন্ট তাদের পরামর্শমতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। যদি আইন প্রণয়ন একান্তই সম্ভব না হয় তবে বিকল্প হিসেবে যে সার্চ কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদাধিকারীদের নিয়ে তা গঠন করা যেতে পারে। তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রতি পদে চারজনের নাম প্রস্তাব করবে। নির্বাচন কমিশনের ৫ সদস্যের মধ্যে ২ জন নারী সদস্য থাকবেন। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী আইনগুলোর যথাযোগ্য প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
সংলাপে অংশগ্রহণকারী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন আনিসুর রহমান মল্লিক, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, কামরূল আহসান, আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান ও নজরুল ইসলাম হক্কানী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।