নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভেন্যু বদলালেও অ্যাশেজের বক্সিং ডে টেস্টে ব্যাটিংয়ের চিত্র বদলাল না ইংল্যান্ডের। সিরিজ বাঁচানোর টেস্টে দরকার ছিল আরও বেশি আত্মনিবেদন, আরও বেশি দৃঢ়তা। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে পাওয়া গেল না তার কোন কিছুই। যেন মেলে ধরলেন বাজে শটের প্রদর্শনী। এক টেস্ট পর ফিরে শুরুতেই ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার কাঁপিয়ে দিলেন অজি কাপ্তান প্যাট কামিন্স। উইকেট নেওয়ায় যোগ দিলেন মিচেল স্টার্ক, অভিষিক্ত স্কট বোল্যান্ডরা। শেষ দিকে ইংল্যান্ডকে মুড়ে দেন অফ স্পিনার ন্যাথান লায়ন। এর ফাঁকে অধিনায়ক জো রুটই যা কিছু লড়লেন, বাকিরা করলেন হতাশ। তাদের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেল দুইশর আগেই।
প্রথম দুই টেস্টে হেরে সিরিজে ২-০ তে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিন অর্ধশতক করেই আউট হয়ে গেছেন রুট, বাকি দশজন মিলে করেছেন ১৩৫ রান। বাজে শটের পসরা সাজিয়ে বেন স্টোকস ও জস বাটলার বিদায় নিলে সিরিজে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া জনি বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান। তাতে ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ১৮৫ রানে! রুট তুলে নেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তার নবম টেস্ট ফিফটি। ৮২ বলে ৫০ রানের ইনিংসের পথে রুট গড়েন একটি রেকর্ডও। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডে ছাড়িয়ে যান গ্রায়েম স্মিথকে। ২০০৮ সালে ১ হাজার ৬৫৬ রান করে রেকর্ড গড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক। এক পঞ্জিকাবর্ষে মোহাম্মদ ইউসুফের সবচেয়ে বেশি রানের বিশ্ব রেকর্ডের (১ হাজার ৭৮৮) পথেও আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন রুট (১ হাজার ৬৮০)।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ঘাসের ছোঁয়া পেয়েই জ্বলে ওঠেন কামিন্স। সফরকারী টপ অর্ডারের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই যে অজি অধিনায়কের শিকার। ৩ উইকেট নেন অফ স্পিনার ন্যাথান লায়নও। দু’জনেরই খরচা ৩৬ রান করে। ৫৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। ৪৮ রানে ১ উইকেট বোল্যান্ডের, ক্যামেরন গ্রিন ৭ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট। প্রথম দিনটিকে পুরোপুরি নিজেদের করে নেওয়ার পথে অস্ট্রেলিয়া দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ৬১ রান নিয়ে। দিন শেষ হওয়ার ১১ বল আগে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নারকে (৪২ বলে ৫ চারে ৩৮) হারানোই যা একটু অতৃপ্তি হয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়ার! তবে প্রথম ইনিংসে তারা পিছিয়ে আছে কেবল ১২৪ রানে। ৫১ বলে ২০ রানে অপরাজিত আছেন হ্যারিস। ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে নামা লায়ন এখনও খুলতে পারেননি রানের খাতা।
এমন ম্যাচে আরো বিব্রতকর এক রেকর্ডেরই সাক্ষী হতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক কামিন্স ফিরিয়ে দেন হাসিব হামিদকে। ইংলিশ ওপেনার আউট হন কোনো রান না করেই। হামিদের এই শূন্য রানে আউট হওয়া ছিল এই বছর ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ৫০তম ‘ডাক!’ এক পঞ্জিকাবর্ষে এক দলের ব্যাটসম্যানদের শূন্যের ‘হাফসেঞ্চুরি’ করার দ্বিতীয় নজির এটি। ইংল্যান্ড এগিয়ে চলেছে নিজেদেরই অনাকাক্সিক্ষত রেকর্ড ভাঙার দিকে।
১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ডের ২৮ ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন মোট ৫৪ বার। এক বছরে এক দলের সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে ফেরার রেকর্ড সেটিই। এই বছর হামিদকে দিয়ে ইংল্যান্ডের ২৫ ব্যাটসম্যান আউট হলেন ৫০ বার।
এই রেকর্ডের তিনে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০০ সালে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের ‘ডাক’ ছিল ৪৪টি, ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের ছিল ৪০টি। রেকর্ডের পাঁচে আছে ভারত, ২০১৮ সালে তাদের ব্যাটসম্যানরা শূন্য রানে ফিরেছেন মোট ৩৯ বার। বাংলাদেশের এক বছরে সবচেয়ে বেশি শূন্য ২০০২ সালে, সেবার ২৪ ব্যাটসম্যান কোনো রান না করেই আউট হয়েছেন মোট ৩৫বার।
শূন্যের রেকর্ডে সাধারণত লেজের ব্যাটসম্যানরাই থাকেন ওপরের দিকে। বিস্ময়করভাবে, এই বছর ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৬বার শূন্য রানে ফিরেছেন ওপেনার ররি বার্নস! টেস্ট ইতিহাসেই যা রেকর্ড। ১৯৫২ সালে ভারতীয় ওপেনার পঙ্কর রায় শূন্যতে ফিরেছিলেন ৫ বার। চলতি বক্সিং ডে টেস্ট এই বছর ইংল্যান্ডের শেষ টেস্ট। নিজেদের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা এখনও তাই আছে তাদের।
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৬১.১ ওভারে ১৮৫ (হামিদ ০, ক্রলি ১২, মালান ১৪, রুট ৫০, স্টোকস ২৫, বেয়ারস্টো ৩৫, বাটলার ৩, উড ৬, রবিনসন ২২, লিচ ১৩, অ্যান্ডারসন ০*; স্টার্ক ২/৫৪, কামিন্স ৩/৩৬, বোল্যান্ড ১/৪৮, গ্রিন ১/৭, লায়ন ৩/৩৬)। অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ১৪.১ ওভারে ৬১/১ (হ্যারিস ২০*, ওয়ার্নার ৩৮, লায়ন ০*; অ্যান্ডারসন ১/১৪, রবিনসন ০/২৩, উড ০/১৫, স্টোকস ০/৮)। প্রথম দিন শেষে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।