নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিউজিল্যান্ডে কোন সংস্করণেই বাংলাদেশের কোন সুখস্মৃতি নেই। টেস্টে পারফরম্যান্স তো যাচ্ছেতাই। নিউজিল্যান্ডে কখনোই দ্বিপাক্ষিক সিরিজের কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে অবস্থা সবচেয়ে বেশি করুণ টেস্টে। এখনও পর্যন্ত ৯ টেস্ট খেলে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে সবকটিতেই। ইনিংস ব্যবধানের হারই আছে ৫টি। এছাড়া ৯ উইকেটের হার আছে দুই দফায়, ৭ উইকেটের হার একবার, আরেকবার হার ১২১ রানে। তবে এই হারের মালায় খানিকটা সুবাস ছড়ানো ফুল ২০১৭ সালে ওয়েলিংটন টেস্ট। ৫ বছর আগে যে লড়াই এবং শেষ দিনের শেষ সেশন পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নিতে পারার স্বস্তিই লাল-সবুজের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। সেবার প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫৯৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। উপমহাদেশের বাইরে যা এখনও সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। ৩৫৯ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান (২১৭) ও মুশফিকুর রহিম (১৫৯), এখনও যা জুটির রেকর্ড। এবার আরেকটি সফরের আগে সেই স্মৃতি থেকেই অনুপ্রেরণা খুঁজছে দল।
সেবার প্রথম ইনিংসে লিডও ধরা দেয়। তবে বিপত্তি বাধে দ্বিতীয় ইনিংসে। প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানের ইনিংস খেলা মুশফিক দ্বিতীয় ইনিংসে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ওপেনার ইমরুল কায়েসও চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে পরে ফেরেন শেষ দিকে। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৬০ রানে। ম্যাচের বেশির ভাগ জুড়ে ড্রয়ের আশা জাগিয়েও তাই শেষ দিনে বাংলাদেশ হেরে যায় ৭ উইকেটে। সেই লড়াই থেকে এত বছর পরও আশার প্রদীপ জ্বালাচ্ছেন এবারের সফরের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। গতকাল বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তাকে বলতে শোনা যায়, ওয়েলিংটনকেও এবার ছাড়িয়ে যেতে চান তারা, ‘এর আগে নিউজিল্যান্ডে আমরা ১০টি (আসলে ৯টি) টেস্ট খেলেছি, রেকর্ড যেখানে খুব ভালো নয়। ব্যতিক্রম বলা যায় ২০১৬ সালের (২০১৭ সাল) ওয়েলিংটন টেস্ট। ওই টেস্টে শেষ দিনে চা-বিরতির পর হেরে যাই আমরা। তবে ওই টেস্ট থেকেই আমরা প্রেরণা নিচ্ছি যে, সেবার যদি আমরা ৫৯৫ করতে পারি ৮ উইকেটে, ইনিংস ঘোষণা করেছিলাম, এবার আমরা চাই আরও ভালো কিছু করতে।’
নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার পর দলের প্রথম ঠিকানা ক্রাইস্টচার্চ ছেড়ে গতপরশু রাতেই তাওরাঙ্গায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। তাওরাঙ্গার জমজ শহর মাউন্ট মঙ্গানুইতে হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। সেখানে পৌঁছার পর ভ্রমণ ক্লান্তি ও সাপোর্ট স্টাফদের বড়দিনের ছুটি মিলিয়ে গতকালের দিনটি অবশ্য ছুটি কাটাচ্ছে বাংলাদেশ দল। বড়দিনে ছুটির আমেজে গোটা নিউজিল্যান্ডই। খালেদ মাহমুদ জানিয়ে দিলেন সামনের কদিনে দলের কার্যক্রম কেমন হবে, ‘আজকে (গতকাল) আমাদের ডে অফ। কারণ ক্রিসমাসে এখানে সবার ছুটি। কেউ কাজ করছে না। আমাদের ছেলেদেরও তাই ছুটি। ক্রাইস্টচার্চে আমরা খুব ভালো ট্রেনিং করে এসেছি। গতকাল (গতপরশু) জিম সেশন ছিল। আগামী দুই দিন, মানে ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর আমরা ট্রেনিং করব। আশা করি কঠোর ও ভালো ট্রেনিং হবে। ২৮ ও ২৯ তারিখ আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। ৩০ তারিখ আবার বিরতি। ৩১ তারিখে অনুশীলনের পর আমরা প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলব ১ তারিখ থেকে। এখনও পর্যন্ত সব ভালো। ছেলেরা ফিট আছে, ভালো আছে। অনুশীলনও ভালো হচ্ছে। আশা করছি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব।’
গত ২০ বছরে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৩২টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। কোনও ফরম্যাটে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর দলের অবস্থা এমনিতেই টালমাটাল। তার ওপর পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর টেস্টেও হয়েছে একই পরিণতি। সেই দুঃস্বপ্নের এক বছর পেছনে ফেলে এবার নতুন বছরে ভালো কিছু উপহার দেওয়ার চ্যালেঞ্জ। যার শুরুটাই হতে যাচ্ছে ২০২২ সালের প্রথম দিন। এদিন সিরিজের প্রথম ম্যাচটি মাঠে গড়ানোর পর দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি ৯ জানুয়ারি হ্যাগলি ওভালে। ম্যাচ দুটিই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।