গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, লঞ্চ দুর্ঘটনা নিয়ে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বক্তব্য তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার বহিঃপ্রকাশ। আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রামপুরায় বিটিভি ভবনে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫৮বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকান্ডে হতাহতের ঘটনাকে বিএনপি নেতারা ‘সরকারের দু:শাসনের ফল’ বলে মন্তব্য করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
দুর্ঘটনাকে অত্যন্ত দু:খজনক বলে অভিহিত করে এবং নিহতদের আত্মার শান্তি ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে তদন্ত হচ্ছে। এটি দুর্ঘটনা না নাশকতা সেটি তদন্তে বেরিয়ে আসবে এবং যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যেই নিহতদের পরিবারের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিক সাহায্য দেয়া এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি মনিটর করছেন।
‘কিন্তু এবিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও মান্না সাহেবসহ অন্যান্য নেতারা যেসব বক্তব্য রাখছেন, সেগুলো তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব থেকেই বলছেন’ বলেন ড. হাছান মাহমুদ। তাহলে উন্নত দেশগুলোসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এবং এদেশে আগেও যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে তারা কি বলবেন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এর সাথে তো রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
হাছান মাহমুদ বলেন, সবকিছুর সাথে রাজনীতি নিয়ে আসা অবান্তর। কেউ যদি বলেন, মান্না সাহেব ছয়বার দলবদল করেছেন, সেটিও কি সুশাসনের অভাবে! মির্জা ফখরুল সাহেবসহ অন্যান্য বিএনপি নেতারাও যারা খোলস বদলেছেন, সেটিও কি সুশাসনের অভাবে! এসব বক্তব্য রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছুই নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।