নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় দলে শেষবার খেলেছেন ২০১৬ সালে। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কিংবা লিস্ট ‘এ’তে মাঠে নামা হয়নি ২০১৭ সালের পর। কেবল আইপিএলই চালিয়ে যাচ্ছিলেন হরভজন সিং। সেখানেও আর দেখা যাবে না তাকে। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন ভারতের এই অফ স্পিনার।
গতকাল ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন ৪১ বছর বয়সী হরভজন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘সব ভালো কিছুরই শেষ আছে। আজ আমি এই খেলাটিকে বিদায় বলছি যা আমাকে জীবনে সবকিছু দিয়েছে। এই ২৩ বছরের যাত্রাকে যারা আনন্দময় ও স্মরণীয় করেছে, তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকলকে মন থেকে ধন্যবাদ, সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’ পাশাপাশি ইউটিউবে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন হরভজন। তিনি বলেছেন, ‘ভারতের জার্সি গায়ে যখনই খেলতে নেমেছি, সেটার চেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আর হয় না। কিন্তু একটা সময় আসে, যখন জীবনে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। জীবনে এগিয়ে যেতে হয়। গত কয়েক বছর ধরেই আমি প্রকাশ্যে এই ঘোষণাটা দিতে চাইছিলাম। আর আজ (গতকাল) আমি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি।’
সবশেষ আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন হরভজন। গত এপ্রিলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচটিই হয়ে থাকছে তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। কিছুটা আক্ষেপ নিয়ে তিনি যোগ করেছেন, ‘কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে দায়বদ্ধতার কারণেই আগে ঘোষণা দিতে পারিনি। কিন্তু মৌসুমের মাঝপথেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। আমিও ভারতের জার্সিতেই অবসর নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সবার ভাগ্য সমান হয় না।’
১৯৯৮ সালে দেশের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন হরভজন। বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তার। ওই ম্যাচে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। পরের মাসে শারজাহতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় তার। ক্রিকেটের আধুনিকতম সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে তিনি প্রথম ম্যাচ খেলেন ২০০৬ সালে। জোহানেসবার্গে প্রতিপক্ষ ছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।
২৩ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে হরভজন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন অনেকবার। কখনও অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য, কখনও বিতর্কিত কর্মকাÐের জন্য। শুরুতে বোলিং অ্যাকশন নিয়েও তদন্তের মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে টেস্টে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হিসেবেই অবসরে গেলেন হরভজন। ১০৩ ম্যাচে ৩২.৪৬ গড়ে তার উইকেট ৪১৭টি। তার উপরে আছেন কেবল অনিল কুম্বলে, কপিল দেব ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। টেস্টে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়া ভারতের প্রথম বোলার তিনি। ২৩৬ ওয়ানডেতে হরভজন পেয়েছেন ২৬৯ উইকেট। ২৮ টি-টোয়েন্টিতে তার উইকেট ২৫টি। এছাড়া, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭৮০ ও লিস্ট ‘এ’তে ৩৯৩ উইকেট দখল করেছেন তিনি।
ব্যক্তিগত অর্জনের পাশাপাশি হরভজনের দলীয় সাফল্যের পাল্লাও ভারী। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা ভারত দলের গর্বিত সদস্য ছিলেন তিনি। এরপর ঘরের মাটিতে ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ নেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।