দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
সংলাপের নামে সরকার লোক দেখানো সময় পার করছে : চরমোনাই পীর
ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:১৯ পিএম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সংবিধানের ১১৮-২৬ ধারায় আইন প্রনয়নের জন্য সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। অথচ সরকার আইন প্রনয়ন না করে প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে প্রেসিডেন্টের সাথে কথিত সংলাপের নামে লোক দেখানো অর্থহীন সময় পার করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর দেয়া কোন প্রস্তাবের তোয়াক্কা না করে নিজেদের আজ্ঞাবহ পকেট কমিশন গঠন করে পুনরায় ক্ষমতায় যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করে।
প্রেসিডেন্টের অতীতের সবকটি সংলাপ বিশ্লেষণ করলে যা সহজেই অনুমেয়। সংলাপের নামে এসব ভাওতাবাজি বাদ দিয়ে সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তানের কাজি বশির মিলনায়তনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন-২২-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন তিনি।সম্মেলনে চরমোনাই পীর ‘ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ‘-এর পরিবর্তন করে নতুন নাম ঘোষণা করেন ‘ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’ হিসেবে। পরে ২০২১ সেশনের কমিটি বিলুপ্ত করে ‘ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর ২০২২ সেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন। ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরীফুল ইসলাম রিয়াদ ও সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন এর নাম ঘোষণা করেন।
চরমোনাই পীর আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে একটি মাইলফলকে পৌঁছেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো একটি চিহ্নিতগোষ্ঠী স্বাধীনতার লক্ষ্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদের বিজয় বলে প্রোপাগান্ডা চালায়। অথচ মুক্তি যুদ্ধ কোন আদর্শিক লড়াই ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ ছিল জালিমের জুলুমের বিরুদ্ধে মাজলুমের মুক্তি সংগ্রাম। কিন্তু সেই ইতরগুলো ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড় করাবার ব্যর্থ চেষ্টা করে সৌহার্দ্য সম্প্রীতিময় এ জাতিকে বিভক্ত করতে চাই। এদের এই দুঃস্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না ইনশাআল্লাহ।’ নূরুল করীম আকরামের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, নায়েবে আমির মুফতি ফজলুল করিম (শায়খে চরমোনাই), অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মেজর জেনারেল ( অব) মুহাম্মাদ ইব্রাহিম, আতিকুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, গাজী আতাউর রহমান ও মাওলানা ওবাইদুর রহমান খান নদভী প্রমুখ।
