মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যখন সারাবিশ্ব করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তখন চোরের দল মানবিক সহায়তার জন্য গঠিত ত্রাণ তহবিল থেকে ১০ হাজার কোটি ডলার চুরি করে পকেটে ডুকিয়েছে।
এমন ঘটনা ঘটেছে মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের কোভিড-১৯ ত্রাণ তহবিল থেকে এ টাকা চুরি হয়। তাও আবার ১০ হাজার কোটি ডলার। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এমনই রিপোর্ট এসেছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর জেরে যারা ব্যবসা এবং নিজের পরিজনকে হারিয়েছেন, তাদের সাহায্যের জন্যই ওই টাকা ত্রাণ তহবিলে সঞ্চয় করা হয়েছিল। সেই টাকাই চুরি গেছে। এই মামলায় তদন্তকারী এজেন্সির কো-অর্ডিনেটর রয় ডটসন বলেন, মার্কিন শ্রমবিভাগের তথ্য বলছে, কোভিড ত্রাণে মোট সঞ্চিত ৩ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি অর্থের ৩ শতাংশ তছরুপ হয়েছে। মূলত, করোনায় যাঁরা চাকরি হারিয়েছিলেন, তাঁদের জন্য রাখা সাহায্যের টাকাই নয়ছয় হয়েছে।
শ্রমবিভাগ জানিয়েছে, চাকরিহারাদের সাহায্যের জন্য যে টাকা রাখা হয়েছিল, অনেকাংশে তা দেয়াই হয়নি। মোট ৮ হাজার ৭০০ কোটি ডলার অর্থ অবৈধভাবে লেনদেন হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তে নেমে ১০০ কোটি ২০০ ডলার বাজেয়াপ্ত করেছে। এই অর্থই কাজ-হারাদের বিমা এবং ঋণের প্রকল্প থেকে তছরুপ করা হয়। এছাড়া আরো ২০০ কোটি ৩০০ ডলার ত্রাণ প্রকল্পের সহযোগী সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, যারা ওই টাকার সুবিধা পেতেন, তাদের কাছেই সেই অর্থ পৌঁছয়নি। করোনা ত্রাণ নিয়ে দেশজুড়ে তদন্ত চালাচ্ছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৯০০ মামলা দায়ের হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছেন ১০০ জন।
বিচার বিভাগ সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে ১৫০ জন আবেদনকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৯৫টি মামলার ফয়সালা হয়। বেশ কয়েকজনের সাজাও ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চেই প্রকল্পের সূচনা করে ন্যূনতম সুদে ঋণদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। সেই প্রকল্পেও বহু জালিয়াতি হয়েছে বলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে।
সূত্র : বর্তমান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।