মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রিন্সেস হায়া শেখ মোহাম্মদের ষষ্ঠ এবং কনিষ্ঠতম স্ত্রী ছিলেন। শেখ মোহাম্মদ শুধু দুবাইয়ের ধনাঢ্য শাসক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ঘোড়দৌড়ের জগতেও রেসের ঘোড়ার একজন প্রভাবশালী মালিক। হায়া তার এক ব্রিটিশ দেহরক্ষীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গোপন রাখার জন্য অন্য চারজন দেহরক্ষীকে ১০ কোটি টাকার বেশি ঘুষ দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও তাদের প্রেমের সম্পর্ক ফাঁস হয়ে যায়। আর এতেই ক্ষেপে যান দুবাইয়ের শাসক।
দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুম ও তার সর্বকনিষ্ঠ স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল-হুসেইনের বিবাহ-বিচ্ছেদ মামলার রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। যুক্তরাজ্যের আইনী জগতের ইতিহাসে একে বলা হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিবাহবিচ্ছেদের মামলা। এতে আমিরাতের প্রধানমন্ত্রীকে সব মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার ২৫০ কোটি (৫০ কোটি পাউণ্ড) টাকা প্রদানের নির্দেশ দিয়া হয়েছে।
জর্ডানের সাবেক বাদশাহ হুসেইনের কন্যা ৪৭-বছর বয়স্ক প্রিন্সেস হায়াকে এককালীন ২৫ কোটি ১৫ লক্ষ পাউণ্ড দিতে বলেছে হাইকোর্ট। আদালত রায় দিয়েছে যে দুবাইয়ের এই শাসকের ঘরে প্রিন্সেস হায়ার দুই সন্তানের প্রত্যেককে প্রতিবছর ৫৬ লক্ষ পাউণ্ড দিতে হবে, এবং তা ২৯ কোটি পাউণ্ডের একটি গ্যারান্টি দিয়ে সুরক্ষিত করা থাকবে। এই দুই সন্তানের মধ্যে এক কন্যার বয়স ১৪ বছর এবং পুত্রের বয়স নয় বছর।
প্রিন্সেস হায়ার ব্রিটেনে বহু লাখ পাউণ্ড দামের দুটি বাড়ি রয়েছে এবং এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের খরচের কথাও রায়ে রয়েছে। এ বাড়িগুলোর একটি লন্ডনের কেনসিংটন প্রাসাদের পাশেই এবং অপরটি সারে কাউন্টির এগহ্যামে। এ ছাড়া রায়ে প্রিন্সেসের নিরাপত্তার ব্যয়, ছুটি কাটানোর খরচ, একজন নার্স ও আয়ার বেতন ও আবাসনের খরচ, পরিবারের জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ি, এবং তার পালিত ঘোড়া ও অন্যান্য প্রাণীর খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ বছর হাইকোর্ট এক রুলিং-এ বলেছে, শেখ মোহাম্মদ অবৈধভাবে প্রিন্সেস হায়া, তার দেহরক্ষী এবং আইনজীবী দলের ফোন হ্যাক করিয়েছিলেন। এ জন্য ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করা হয়। তবে শেখ মোহাম্মদ বলেন, তার কাছে কোন হ্যাক করে পাওয়া সামগ্রী নেই এবং তার অনুমোদন নিয়ে কোন নজরদারি চালানো হয়নি।
প্রিন্সেস হায়া তার এক ব্রিটিশ দেহরক্ষীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন জানার পর শেখ মোহাম্মদ ‘তুমি বেঁচে ছিলে, তুমি মরে গেছো’ নামে একটি কবিতা প্রকাশ করেন, যাতে তাকে হুমকি দেয়া হয় বলে অনুমান করা হয়। ২০১৯ সালে হায়া তার দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে ব্রিটেনে পালিয়ে যান। তিনি আদালতকে জানান যে, এর আগে শেখ মোহাম্মদ তার দুই মেয়ে শেখ লতিফা ও শেখ শামসাকে অপহরণ করিয়েছেন, ফলে তিনি এখন তার নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কিত। সূত্র : বিবিসি বাংলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।