নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা: যেনো এক সুঁতোয় গাঁথা দু’জন। টি-২০ দিয়ে অভিষেক, সেখান সিঁড়ি বেয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট, তারপর টেস্টÑএভাবেই তিন ফরমেটের ক্রিকেটে পর্যায়ক্রমে অভিষেক সাব্বির রহমান রুম্মানের। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের গল্পটাও লিখতে হচ্ছে এভাবেই। এ বছরের শুরুতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেট টি-২০ দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক, প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে অল রাউন্ড পারফরমেন্সের পুরস্কার পেয়ে এ মাসে হয়েছে ওয়ানডে অভিষেকÑ৫ ওয়ানডে ম্যাচে ১১৬ রান (৩৮.৬৬) এবং ৫ উইকেটে নিজেকে মেলে ধরা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এখন সিঁড়ি বেয়ে টেস্ট অভিষেকের দ্বারপ্রান্তে। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিন তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি, যার মধ্যে ২টি আবার উপর্যুপরি। গত বছর এমন পারফরমেন্সে টেস্ট অভিষেকের স্বপ্ন দেখেছেন মোসাদ্দেক সৈকত। কিন্তু ১৫ মাস বাংলাদেশ দল টেস্টের বাইরে কাটানোয় সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটে মোসাদ্দেকের অভিষেকে হয়ে গেছে আগে-ভাগেই। ঢনিজেও নাকি টি-২০,ওয়ানডের আগে কামনা করতেন টেস্ট অভিষেকের। ঢাকা টেস্টকে সামনে রেখে সে কথাই বলেছেন মিডিয়াকেÑ ‘গত বছর যখন জাতীয় লিগ শেষ করেছি, তখন ভেবেছিলাম টেস্ট অভিষেকটাই আগে হবে। তবে অভিষেক হলো টি-২০ দিয়ে, এরপর মনে-প্রাণে চাচ্ছিলাম যেনো টেস্টের আগে ওয়ানডে অভিষেকটা হয়। তা হয়েছে। টেস্ট অভিষেক হবে কিনা জানিনা , দেখা যাক ম্যানেজমেন্ট কি ভাবছে।’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বাধিক তিনটি ডাবল সেঞ্চুরিতে এমনিতেই জন্ম দিয়েছেন বিস্ময়ের। ১৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ময়মনসিংহের এই ছেলেটির ৭টি সেঞ্চুরি অনেক আগেই আলোচনায় এনেছে মোসাদ্দেকেকে। লংগার ভার্সনের ক্রিকেটে রান মেশিনের গড় ৭০.৮৯Ñএটাও গর্ব করার মতো। দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচের টেম্পরমেন্টটা রপ্ত করেছেন,দীর্ঘসময় উইকেটে থেকে ইনিংস বড় করার রেসিপিটাও জানের মোসাদ্দেকÑ‘লংগার ভার্সনে খেলতে সময়টা একটু বেশি পাওয়া যায় ব্যাটসম্যান হিসেবে। সেট হওয়া যায় তারপর রান করা যায়। এ সুযোগটা বেশি থাকে লংগার ভার্সনে। আমি এ জায়গাটা অনেক বেশি উপভোগ করি।’
টেস্ট অভিষেকে সাব্বির মাতিয়েছেন,৪র্থ ইনিংসে ফিফটিতে চিনিয়েছেন নিজেকে। টি-২০ থেকে ধাপে ধাপে ওয়ানডে, টেস্টে সাব্বির যেভাবে মানিয়ে নিয়েছেন,সেটাই অনুপ্রাণিত করছে মোসাদ্দেককেÑ ‘ব্যাটিং স্টাইল, স্ট্রাইক রেট চিন্তা করতে গেলে সাব্বির এবং আমি মোটামুটি এক রকমই। এর আগে জাতীয় লিগে ভালো খেলেছি, চতুর্থ দিনে কিভাবে খেলতে হয়, সে ধারণা আছে। ও (সাব্বির) যদি তুলনামুলক কম চারদিনের ম্যাচ খেলে টেস্টে এতো ভালো করতে পারে,তাহলে আমি কেন পারবো না ?’
প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করলেও জাতীয় দলের লম্বা ব্যাটিং লাইন আপের কারণে ওয়ানডে ক্রিকেটে সাত অথবা ৮ নম্বরে ব্যাটিং করতে হচ্ছে। কম্বিনেশনের কারণে টেস্টেও নীচে নেমে করতে হবে ব্যাটিং, তা ধরে নিয়েই মানসিকভাবে হচ্ছেন প্রস্তুতÑ ‘জাতীয় দলে খেললে আমাকে নিচে ব্যাটিং করতে হবে, প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের পর তা ধরেই নিয়েছি। আমি সেভাবেই প্রস্তুত। এসব নিয়ে না ভেবে ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করতে চাই। লক্ষ্য থাকবে নিজের খেলাটা খেলা। লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করার চেষ্টা করবো, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করবো। উইকেটে সেট হয়ে গেলে কে লম্বা বোলার, কে ভালো বোলার তাতে কিছু যায় আসে না। উইকেটে সেট হওয়াটাই বড় কথা।’
সংক্ষিপ্ত ফরমেটের ক্রিকেটে তার আইডল কোহলী, টেস্টে সেখানে হাশিম আমলাÑ ‘বিরাট কোহলিকে ফলো করি। আর টেস্ট ক্রিকেট যখনই হয় তখন আমি হাসিম আমলার ব্যাটিংটা দেখার চেষ্টা করি।’
একসঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন,সেই মেহেদী হাসান মিরাজের টেস্ট অভিষেক হয়েছে মোসাদ্দেকের আগে। চট্টগ্রাম টেস্টে মিরাজের স্বপ্নীল অভিষেকে দিয়েছেন বাহাবা মোসাদ্দেকÑ‘মিরাজের বোলিংটা খুবই ভালো লেগেছে। ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে অভিষেক ইনিংসে ও ৬টি উইকেট পেয়েছে। এটা মোটেও সহজ ব্যাপার নয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।