বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভোট নৌকা বাদে কোথাও যাবে না। হরিপুর ইউনিয়নে থাকতে হলে ভোট নৌকাতেই দিতে হবে। আগ বাড়িয়ে কোনো রকম রং কিংবা সিঁদুর নিতে যাইয়েন না। আপনাদের কেউই রক্ষা করতে পারবে না।
সকলের তালিকা করা হচ্ছে, ৫ তারিখে নির্বাচনের পরে দেখা হবে। কোনো সুযোগ-সুবিধা আর পাবেন না। এভাবেই কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিবাসীকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিলন মÐল।
পঞ্চম ধাপে ৫ জানুয়ারি হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণামূলক সভায় এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ করলে মুহ‚র্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে ভোটের পরিবেশ ও হামলার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ ভোটার ও প্রার্থীরা। ৩ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শম্পা মাহমুদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সভা করছেন। সেখানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বক্তব্য দেন।
মিলন মÐল তার বক্তব্যে বলেন, নৌকা নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে আসবেন না। আওয়ামী লীগের রক্তের সঙ্গে কেউ বেঈমানি করবেন না। কোনো রকম আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেয়াদবি সহ্য করা হবে না। আমি মনে করি, আপনাদের দাঁড়ানো (ভোটে) ঠিক হয় নাই। হরিপুর ইউনিয়ন একমাত্র হানিফ ভাইয়ের উন্নয়নের ইউনিয়ন। আপনারা কি দিয়েছে? যে আপনারা নৌকার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ান? আপনাদের দেয়ার ক্ষমতা নাই, দিতেও পারবেন না। আমরা বলতে চাই, আপনারা যারা হরিপুরে বসবাস করছেন, নৌকার বিরোধীতা করছেন, শান্তিতে ঘুমাচ্ছেন, এটাই আপনাদের বড় ভাগ্যের বিষয়। কারণ আওয়ামী লীগ অত্যাচারিতে বিশ্বাসী না। আপনারা শুধু ইউনিয়নের সুবিধা নিবেন। আর জনগণকে ধোকা দিয়ে ভোট নিবেন।
তিনি আরো বলেন, আমি সাধারণ মানুষকে চ্যালেঞ্জ করছি যদি কেউ আপনাদের উপকারে আসতে পারে তাহলে তাকে ভোট দিবেন। আপনাদের চেয়ারম্যান হবে কলাগাছ মার্কা। এদিকে এ বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শঙ্কায় রয়েছে ভোটাররা ভোটের পরিবেশ নিয়েও।
হরিপুর ইউনিয়নের কয়েকজন সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলে তারা জানায়, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে চাই। নিজেদের ভোট পছন্দ মতো প্রার্থীকে দিতে চাই। ভোট সুষ্ঠু হবে কিনা এটাই এখন চিন্তার বিষয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, ‘আমরা হরিপুরের মানুষ রোহিঙ্গা না। লাখো শহীদের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। তাই নাকি ভয় করে আমাদের। এ ব্যাপারে হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিলন মÐলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কারশেদ আলম বলেন, ‘নির্বাচনের আগে এ ধরনের বক্তব্য আমাদের কাম্য নয়। এতে সাধারণ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে আতঙ্কিত হতে পারেন।
হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক হাসান আলী জানান, ভোট সাধারণ নাগরিকদের অধিকার। নির্বাচনী প্রচারণায় এ ধরনের বক্তব্য ভোটারদের প্রভাবিত করে। নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর পরিবেশ যেন বজায় থাকে এজন্য নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই প্রার্থী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।