বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনে বেড়িয়ে এলো ঘটনার নেপথ্যে কাহিনী। মামলার নিষ্পত্তির কথা বলে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আপোষ না করায় এরশাদুলকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ঘাতকরা। কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেয় তিনজন। এছাড়া অর্থ জোগাড় ও অন্যান্য সহায়তায় মিশনে আরো অন্তত ৬/৭ জন জড়িত ছিলো। এমন তথ্যই দিয়েছে তদন্ত সূত্রগুলো। পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জোড়া খুনের ঘটনা পরিকল্পিত। পূর্ব বিরোধের জের ধরেই সংগঠিত হয় এ হত্যাকাÐ। তাতে রয়েছে অর্থ লেনদেনের ঘটনা। ১৭ ডিসেম্বর রাতে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হক ও সহযোগী বাদল সরকার গুলিতে নিহত হয়। এ নিয়ে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাÐে জড়িত আশরাফুল ইসলাম রাব্বী নামের এক ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে ভারতে পালানোর সময় কসবা উপজেলার বিদ্যানগর সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাজীপাড়ার মমিনুল ইসলামের পুত্র।
নজরুলের সঙ্গে ডাকাতি মামলার আসামি রাব্বি বেশ কিছুদিন ধরে চলাফেরা করার সুবাদে ও তার বাড়িতে আশ্রিত থাকার কারণে এ হত্যাকাÐ সংগঠিত করে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গ্রেফতার রাব্বি প্রাথমিকভাবে হত্যাকাÐের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। অর্থনৈতিক লেনদেনকে ঘিরে এই হত্যাকাÐ সংগঠিত হয়েছে। হত্যাকাÐে আর কেউ জড়িত আছে কি না সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুরে জবানবন্দি গ্রহণের জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, ২০১৯ সালে ১ এপ্রিল খুন হন এরশাদুল হকের চাচাতো ভাই সাইদুল্লাহ। এ ঘটনায় নান্দুরা গ্রামের বাসিন্দা আবু নাছির ও তার ছেলে নজরুল ইসলামসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন এরশাদুল। মামলা আপস করার কথা বলে আসামিদের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা নেন এরশাদুল। টাকা নিয়েও আপস না করে মামলা চালিয়ে যাওয়ায় এরশাদুলের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন নজরুল। স¤প্রতি ওই মামলায় নজরুলের বাবা আবু নাছিরকে কারাগারে পাঠান আদালত।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, ডাবল মার্ডার ঘটনায় আশরাফুল আলম রাব্বি অন্যতম প্রধান আসামি। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে এই হত্যাকাÐে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।