মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাবে ভারত রাশিয়ান এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করা শুরু করেছে। মঙ্গলবার স্থানীয় মিডিয়া একথা জানিয়েছে। এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) জানিয়েছে, পাকিস্তান ও চীনের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলায় ভারতীয় বিমান বাহিনী পশ্চিম সীমান্তে এস-৪০০ মোতায়েন করছে। স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এএনআই জানিয়েছে, এস-৪০০ ব্যাটারি পাকিস্তান এবং চীনে আকাশ পথে আসা হুমকি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।
রাশিয়া ভারতকে আকাশ ও সমুদ্র রুটের মাধ্যমে মোবাইল এবং সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ সরবরাহ করা শুরু করেছে যা অবিলম্বে নির্ধারিত স্থানে মোতায়েন করা হবে। রাশিয়ার শক্তিশালী এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের প্রথম ডেলিভারি এ বছরের শেষ নাগাদ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইউনিটটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চালু করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাব রাজ্যে মোতায়েন শেষ করার পরে বিমান বাহিনী পূর্ব ফ্রন্টে ফোকাস করবে এবং দেশে কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য সংস্থান সরবরাহ করবে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর বেশ কয়েকজন অফিসার এবং কর্মী ইতোমধ্যেই রাশিয়ায় এ সিস্টেমে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ৬ ডিসেম্বর বলেছিলেন যে, রাশিয়া দেশে এস-৪০০ সরবরাহ শুরু করেছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার স্পেক্টর : ভারত এবং রাশিয়া ২০১৮ সালে সাড়ে ৫০০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা ভারতকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে ফেলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনা থেকে দেশগুলোকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছে, কাউন্টারিং আমেরিকাস অ্যাডভারসারিজ থ্রু নিষেধাজ্ঞা আইন (সিএএটিএসএ)-এর অধীনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুমকি দিয়েছে, যা তারা তুরস্ক, ইরান, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে।
ওয়াশিংটনের সতর্কতা সত্তে¡ও নয়াদিল্লি ক্রয় নিয়ে এগিয়েছে এই যুক্তিতে যে, তাদের রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সাথে কৌশলগত সংযোগ রয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন তার মার্চ মাসে ভারত সফরের সময় পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, সব মার্কিন মিত্র এবং অংশীদারদের রাশিয়ান হার্ডওয়্যার পরিত্যাগ করা উচিত এবং ‘নিষেধাজ্ঞার কারণ হতে পারে এমন যেকোনো ধরনের অধিগ্রহণ এড়িয়ে চলুন’।
তুরস্ক যুক্তি দিয়েছে যে, সিএএটিএসএ নিষেধাজ্ঞাগুলো অন্যায়, কারণ গ্রিসের মতো দেশগুলো কোনো নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবহার করেছে। মার্কিন দাবির বিপরীতে এস-৪০০ মার্কিন তৈরি ফাইটার জেটের সাথে যোগাযোগ করে না এবং তাই দীর্ঘদিনের ন্যাটো মিত্র হিসাবে তুরস্কের মর্যাদা বিপন্ন করে না, তুরস্কও বলেছে। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।