মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক: ভারতের উত্তর প্রদেশের ভোটের দেরি বড়জোর চার মাস, কিন্তু তারই মধ্যে শাসক দল সমাজবাদী পার্টির (এসপি) গৃহযুদ্ধ দলকে ভাঙনের মুখে দাঁড় করিয়েছে। যাদব পরিবারের এই কোন্দল গতকাল সোমবার হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছায়। দুই গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যেও দেখা যায় প্রবল উত্তেজনা। এবং তা হয় দলের সর্বময় কর্তা অসহায় মুলায়ম সিং যাদবের সামনেই। শাসক দলের এই লড়াইয়ের রেশ শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামে আপাতত সেদিকেই রাজনৈতিক মহলের নজর। রাজ্যের অন্য দুই প্রধান দল বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) ও ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মনে করছে, এসপিতে ভাঙন ধরলে ভোটের বাজারে লাভ হবে তাদেরই। এসপিতে ক্ষমতার লড়াই প্রধানত মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদব ও তাঁর কাকা দলের রাজ্য সভাপতি শিবপাল যাদবের মধ্যে। আসন্ন নির্বাচনে টিকিট বিলির ক্ষমতা কাকা না ভাইপো কার হাতে বেশি থাকবে, ঝগড়ার প্রধান কারণ সেটাই। প্রকাশ্যে না এসেও যিনি এই লড়াইয়ে প্রধান উপলক্ষ হয়ে গেছেন, তিনি অমর সিং। ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর মুলায়ম সিংয়ের উদ্যোগে তিনি আবার দলে ফেরেন।
এই প্রত্যাবর্তন কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি অখিলেশ। প্রকাশ্যে বলেছেন, বহিরাগতরা পরিবারে ভাঙন ধরাতে তৎপর। অথচ লক্ষেèৗয় দলীয় সদর দপ্তরে সোমবার সবার সামনে ছেলেকে ধমকে মুলায়ম বলেছেন, অমর তাঁকে জেলযাত্রা থেকে বাঁচিয়েছেন। অমর তাঁর ভাই। আর অখিলেশের উদ্দেশে মুলায়মের ভাই শিবপাল বলেন, তুমি অমর সিংয়ের পায়ের ধুলোরও যোগ্য নও। ক্ষমতার এই লড়াই গত কয়েক দিনে তুঙ্গে ওঠে। দলের তরুণেরা প্রধানত অখিলেশের সঙ্গে থাকলেও সংগঠন বেশির ভাগই শিবপালের হাতে। অখিলেশকে মুখ্যমন্ত্রীর আসন থেকে সরাতে না চাইলেও দল পরিচালনার সবটুকু অনভিজ্ঞ ছেলের হাতে ছেড়ে দিতে মুলায়ম রাজি হননি। রাজি হননি অমর সিংকেও দূরে রাখতে। বিধানসভার ভোটে প্রার্থীদের টিকিট বিলির দায়িত্ব নিজের হাতে রেখে অখিলেশ অন্যদের কর্তৃত্ব খারিজ করার পাশাপাশি দলের ভাবমূর্তি ফেরানোরও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা যে খুবই কঠিন লড়াই, অবশেষে সোমবার বুঝতে পারলেন। বাবা মুলায়মের নির্দেশে কাকা শিবপালের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বুকে জড়িয়ে ধরে তিনি বলেন, বাবা চাইলে অন্য যে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করুন। তিনি ইস্তফা দেবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী যেন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির হন। মুলায়ম জানিয়ে দিয়েছেন, সরকার চালাবেন অখিলেশ, দল চালাবেন শিবপাল। তবু সমাজবাদী পার্টির সংকট কাটেনি। বিজেপির হিসাব, এসপির এই সংকটে মুসলিম ভোট দ্বিধাবিভক্ত হলে তাদের লাভ। বিএসপি আবার ভাবছে, সমাজবাদী পার্টির কোন্দলে বিভ্রান্ত মুসলমান ভোট বিজেপিকে রুখতে তাদের দিকে ঝুঁকবে। লাইফমিন্ট, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।