পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেই আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটি মনে করে, এখন যে সময় রয়েছে তার মধ্যেই ইসি গঠনের আইন করা সম্ভব। তা না হলে প্রেসিডেন্ট অধ্যাদেশ জারি করে তা করতে পারেন। তবে আইন প্রণয়ন না করে গত দু’বারের মতো সার্চ কমিটি গঠন করা হলে ওই কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য চারজনের নাম প্রস্তাব করেছে দলটি।
গতকাল বঙ্গভবনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে প্রথম দল হিসেবে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে জাপা এ প্রস্তাব দেয়। বিকাল ৪টা থেকে প্রায় ২ ঘণ্টা এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে অংশ নেয়া প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেনÑ দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো- চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা।
জাপার তরফে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাবে বলা হয়, সংবিধানের সপ্তম ভাগে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে উল্লেখ আছে। এখানে অনুচ্ছেদ ১১৮(১), উল্লেখ আছে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশে একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।’
সংবিধানে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে উল্লেখ থাকলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে কোনো আইন প্রণীত হয়নি।
সংলাপ শেষে বের হয়ে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের সাংবাদিকদের বলেন, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক করেছি। আমারা প্রেসিডেন্টকে ৩টি প্রস্তাব দিয়েছি। সংবিধানের আলোকে আইন প্রণয়ন করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলেছি। আমরা মনে করি, আগামীতে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে তার জন্য উপরোক্ত সংবিধানের বিধান অনুসরণে একটি আইন করা দরকার। আইনের উদ্দেশ্য হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশন গঠন ও সে অনুযায়ী যোগ্য ও মোটামুটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের বাছাই করার মাপকাঠি ও পন্থা সুনির্দিষ্ট করা। যে সময় আছে তার মধ্যে আইন তৈরি করা সম্ভব। প্রয়োজনে আইন তৈরি করতে প্রস্তুত আছি। সরকার চাইলে আমরা আইনটিও তৈরি করে দিতে পারি। যদি সময় স্বল্পতার জন্য সংসদে আইন প্রণয়ন করতে সম্ভব না হয় তাহলে প্রেসিডেন্ট অধ্যাদেশ জারি করে আইনগুলো বলবৎ করতে পারেন। তারপরও যদি কোনো কারণে অধ্যাদেশ প্রণয়ন সম্ভব না হয় এবং আগের মতো সার্চ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয় তাহলে বিকল্প হিসেবে জাতীয় পার্টি কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করবে। যদিও পার্টির পক্ষ থেকে এই নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। তবে জাপা সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টি সার্চ কমিটির জন্য চারজনের নামের প্রস্তাবের বাইরে আরো একজনের নাম নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসেবে প্রস্তাব করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।