পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে বঙ্গভবনে হাজির হয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। গত বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গভবনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ সময় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ বৈঠক চলে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে একবছর পূর্তি উপলক্ষে ভাষণে বিচারপতিদের অবসরে যাওয়ার পর রায় লেখাকে সংবিধান পরিপন্থী বক্তব্যের জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দেশ ও জাতির জন্য এ ধরনের বক্তব্য না দেওয়া উত্তম। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি যে বক্তব্য দিয়েছেন এসব দেশ ও জাতির জন্য বিপদজনক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় একে একে প্রেসিডেন্ট সঙ্গে বঙ্গভবনে দেখা করতে যান তারা। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রীয় এসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দেখা সাক্ষাৎ বা বৈঠকের পূর্ব নির্ধারিত দিনক্ষণ ঠিক ছিল কিনা তা জানা যায়নি। অনেকটা আকস্মিকভাবেই প্রেসিডেন্ট সঙ্গে তারা দেখা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিক সাক্ষাতের পরেই প্রেসিডেন্ট সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল বৈঠক শুরু হয়, শেষ হয় রাত সাড়ে দশটায়। টানা তিন ঘণ্টা বৈঠক চলে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর বঙ্গভবন থেকে বের হতে দেখা যায়। অন্যরা আরো কিছু সময় পরে বের হন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি একটি নৈশভোজ (ডিনার) ছিল। প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, আমরা তাতে অংশ নিয়েছি। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এ রকম ব্যক্তিরা এক জায়গায় হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা তো হয়ই। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি। এর আগে গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় আইনমন্ত্রী বলেন, অবসরে যাওয়ার পর কোনো বিচারকের রায় লেখা অসাংবিধানিক হতে পারে না। অ্যাটনি জেনারেল প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের পর বলেছিলেন, একজন বিচারপতি বিচারক হিসেবে রায় ঘোষণা করেন। ওই রায় অবসরের পর স্বাক্ষর করতে আইনগত কোনো সমস্যা নেই।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিচারপতিদের অবসরে যাওয়ার পর রায় লেখাকে সংবিধান পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। এরপর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। তার এ মন্তব্যের জন্য জাতীয় সংসদেও সমালোচনা করা হয়। এমন পরিস্থিতিতেই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।