মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পর্যটক হিসেবে বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেরানোর শখ অনেকেরই৷ এর জন্য খরচের খাতাটাও খোলা রাখতে হয়৷ তবে ভ্রমণের জন্য শত কোটি টাকা খরচের ইতিহাস হয়তো খুব একটা নেই৷ জাপানের বিলিয়নিয়ার ইউসাকু মায়েযাভা কিন্তু সেটিই করেছেন৷ তবে তার ভ্রমণের জায়গা পৃথিবীর কোনো দর্শনীয় স্থান নয়৷ তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন মহাকাশ৷
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১২ দিন কাটানোর পর সোমবার পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন তিনি৷ আর এ ১২ দিনের ভ্রমণের জন্য তিনি খরচ করেছেন আনুমানিক ৬১৩ কোটি টাকা৷ নিজের ব্যক্তিগত সহকারি ও ফিল্ম প্রডিউসার ইয়োযো হিরানো এবং রাশিয়ান মহাকাশচারী আলেকজান্ডার মিসুরকিন-কে নিয়ে কাজাখস্তান থেকে মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি৷ ১২ দিনের সফর শেষে আবার কাজাখস্তানেই অবতরণ করেন৷
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইউসাকু মায়েযাভা ছাড়াও মহাকাশযাত্রা শেষ করে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন তার সহকারী ইয়োজো হিরানো ও রাশিয়ার নভোচারী আলেক্সান্দার মিসুরকিন। ১২ দিনের এ সফরে কী কী করছেন সে বিষয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ছবি এবং ভিডিও আপলোড করেছেন ইউসাকু৷ একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি দাঁত ব্রাশ করছেন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় তিনি শৌচাগারে যাচ্ছেন। এ ছাড়া অভিকর্ষত্বরণ না থাকায় কীভাবে খাবার খাচ্ছেন শূন্যে ভাসিয়ে, তারও ভিডিও প্রকাশ করেছেন ইউটিউবে। এসব পোস্টে তিনি কীভাবে মহাকাশের ভরশূন্য অবস্থায় চা বানাতে হয় তা দেখাচ্ছিলেন৷ তাছাড়া মহাকাশ স্টেশনে অতিরিক্ত অন্তর্বাসের ঘাটতির বিষয়টিও আলোচনা করতে দেখা গেছে তাকে৷
সব মিলিয়ে প্রায় কয়েকশ কোটি টাকার এ ভ্রমণটি তিনি বেশ উপভোগ করেছেন বলা যায়৷ স্পেস স্টেশন থেকে এক লাইভ ইন্টারভিউতে ইউসাকু মায়েযাভা বলেন, ‘এমন চমৎকার অভিজ্ঞতা পাওয়া যে কতোটা মূল্যবান তা আপনি শুধু মাহাকাশে আসলেই বুঝতে পারবেন৷’ এদিকে ভ্রমণটিতে কী পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে এমন প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি উত্তর দেননি ইউসাকু মায়েযাভা৷ তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভ্রমণে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৬১৩ কোটি টাকা৷ টাকার অংকটি ঠিক কতো তা প্রকাশ করতে না চাইলেও ইউসাকু মায়েযাভা জানান, অংকটি অনেকটি এরকমই৷
প্রথমবারের ভ্রমণ শেষে এবার ২০২৩ সালে আবারো মহাকাশে যাওয়ার পরিকল্পনা তার৷ এবার লক্ষ্য চাঁদে যাওয়া৷ নিজের সাথে আরো আটজনকে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন এই ব্যবসায়ী৷ উল্লেখ্য, ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, ইউসাকু মায়েযাভা ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ষোল হাজার কোটি টাকা৷ জাপান থেকে ইউসাকু ও হিরানোর আগে আর কেউ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভ্রমণে যাননি। এর মধ্য দিয়ে এক দশকের বেশি সময় পর রাশিয়া মহাকাশে বিদেশি পর্যটক পাঠাল রাশিয়া। সূত্র: এপি, এফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।