বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার রামগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রেখে অফিস কক্ষে শিক্ষক দম্পতির বিবাহবার্ষিকী পালন করায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর রামগতি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে ফেনী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নুরুল ইসলাম এই তদন্ত করেন।
গত ৩ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে রামগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাহমিনা আক্তার রুবিনা ও বিবিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম কামাল উদ্দিন দম্পতি পাঠদান বন্ধ রেখে অফিসকক্ষে নানা আয়োজনে বিয়েবার্ষিকী পালন করেন। ওইদিনই বিয়েবার্ষিকী অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এ নিয়ে দৈনিক ইনকিলাব,দৈনিক সমকাল ও দৈনিক নতুনচাঁদ পত্রিকায় গত ৬ অক্টোবর 'পাঠদান বন্ধ রেখে বিয়েবার্ষিকী' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্ত কার্যক্রমে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান, দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি বেলাল হোসেন জুয়েল, দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিনিধি আমানত উল্যাহ ও অভিযুক্ত শিক্ষকরা অংশ নেন। তদন্ত শেষে ফেনী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নুরুল ইসলাম জানান, তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, রামগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাহমিনা আক্তার রুবিনা ও বিবিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম কামাল উদ্দিন দম্পত্তির ৩২তম বিয়েবার্ষিকী ছিল ২ অক্টোবর। এ উপলক্ষে তাহমিনা আক্তার রুবিনা ৩ অক্টোবর ২টার দিকে তার বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে পোলাও মুরগির রোস্ট ও কোক দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ওই সময় বিদ্যালয় খোলা থাকায় শিক্ষার্থীরা বাইরে হইচই করছিল। বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রেখে অফিসকক্ষে শিক্ষকরা মেতেছিলেন বিয়েবার্ষিকী পালনে। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ আরও অংশগ্রহণ করেন তাহমিনা আক্তার রুবিনার স্বামী বিবিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম কামাল উদ্দিন, চরহাসান-হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল সামাদ, রামগতি বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন এবং রামগতি স্টেশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফেরদৌস।
অনুষ্ঠান শেষে তাহমিনা আক্তার রুবিনা এবং সোহেল সামাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাদের নিজ নিজ আইডিতে অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ওই চারজন প্রধান শিক্ষক বিয়েবার্ষিকীর কেক কেটে একে অপরকে খাওয়াচ্ছেন। অফিস কক্ষের টেবিলে পোলাও, রোস্ট, শসা ও কোকসহ ভুরিভোজ প্লেটে সাজিয়ে রেখেছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষককে তার মোবাইল দিয়ে সেলফি তুলতেও দেখা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।