Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রত্যক্ষ যুদ্ধে ইথিওপিয়ার নোবেল বিজয়ী প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

২০১৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের শততম বিজয়ী ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ প্রায় দুই সপ্তাহ পর সম্প্রতি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে এসেছেন এবং ঘোষণা করেছেন যে, তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী টিপিএলএফ-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমহারার লালেবিয়াসহ আরো অঞ্চলের দখলে নেয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আবি বলেছেন যে, যারা ইথিওপিয়ার সন্তান হয়ে থাকতে চায়, যারা ইতিহাসে প্রশংসিত হবে, তারা যেন আজ দেশের জন্য রুখে দাঁড়ায় এবং যুদ্ধক্ষেত্রে মিলিত হয়।
ইথিওপিয়ার এ প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে নরওয়ের অসলো নিউ ইউনিভার্সিটি কলেজের কনফ্লিক্ট স্টাডিজের অধ্যাপক কেজেটিল ট্রনভোল মন্তব্য করেছেন যে, ‘আবির কর্মকান্ড একজন নোবেল শান্তি বিজয়ীর জন্য নজিরবিহীন, ইরিত্রিয়ার সাথে শত্রুতার অবসান এবং কয়েক দশকের রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের পর ইথিওপিয়াতে রাজনৈতিক সংস্কার প্রবর্তনের জন্য তাকে ২০১৯ সালে একটি সম্মান দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বারাক ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর পুরস্কার জিতেছিলেন এবং আফগানিস্তানে ড্রোন যুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি হোয়াইট হাউসের ওয়ার রুমে বসেছিলেন। আবিই প্রথম যিনি যুদ্ধ ক্ষেত্রের কাছাকাছি গেছেন।’
ট্রনভোল বলেন, ‘আবি আফ্রিকান সরকারগুলোর পাশাপাশি পশ্চিমের প্রতিদ্ব›দ্বী অন্যান্য দেশগুলোর সমর্থন জয়ের জন্য এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। তার সরকারি বাসভবন ত্যাগ করে এবং তার সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে আবি বার্তা দিয়েছেন যে, তিনি প্রয়োজনে ইথিওপিয়ার জন্য মরতেও প্রস্তুত।’ তিনি আরো বলেন, ‘এটি তার জেনারেলদের মনোবল বাড়িয়েছে, ইথিওপিয়ান জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটিয়েছে, হেইলে গেব্রসেলাসির মতো জাতীয় বীরদের যুদ্ধ প্রচেষ্টার সমর্থনে বেরিয়ে আসতে দেখেছে এবং হাজার হাজার মানুষ সেনাবাহিনী এবং আমহারা মিলিশিয়াদের সাথে যোগদানের জন্য সারিবদ্ধ হয়েছে।’
যুদ্ধে আবির সরাসরি যোগদানে টিপিএলএফ যে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে, তা ছিল বিশাল। এর যোদ্ধারা ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে প্রায় ১ শ’ ৩০ কিলোমিটার দ‚রে ডেব্রে বিরহান শহর হয়ে ওয়েল্ডিয়াতে প্রায় ৪ শ’ কিলোমিটার দূরে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এর অর্থ হল বিদ্রোহীরা এ২ হাইওয়ের ম‚ল শহরগুলি হারিয়েছে, যা তাদের শক্ত ঘাঁটি টাইগ্রেকে কেন্দ্রীয় সরকারের আসনের সাথে সংযুক্ত করে। প্রফেসর ট্রনভোল বলেছেন যে, আবির আহ্বানের পাশাপাশি, চীন, তুরস্ক এবং ইরান থেকে প্রাপ্ত ড্রোনগুলি টিপিএলএফকে পিছু হটতে বাধ্য করার ক্ষেত্রে গূরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ইথিওপিয়ার রানিং কিংবদন্তি হেইলে গেব্রসেলাসি বলেছেন, ‘একই সময়ে, সরকার যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চাপকে প্রতিহত করেছে এবং পশ্চিমা শক্তিগুলিকে টিপিএলএফের মিত্র হিসাবে চিত্রিত করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি কীভাবে ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং লিবিয়া ধ্বংস বা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কিন্তু ইথিওপিয়া ১ শ’ ২০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের একটি দেশ। তাই এই দেশকে অস্থিতিশীল করার যেকোনো প্রচেষ্টা হিতে বিপরীত হতে পারে।’ সূত্র: বিবিসি নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ