অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বহুল আলোচিত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশ মানা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে পরিকল্পনা কমিশন বলছে, একটি বাড়ি একটি খামার শীর্ষক প্রকল্পের প্রস্তাবিত সংশোধন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন ২০১৪-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক প্রতীয়মান হওয়ায় প্রস্তাবিত সংশোধনী প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণের জন্য উক্ত আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনপূর্বক সংশোধিত আইন অনুযায়ী সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (আরডিপি) পুনর্গঠন করতে হবে। কিন্তু পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন ২০১৪ সংশোধন ব্যতিরেকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ আরএডিপি পুনর্গঠন করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ.এন. সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেছেন, কমিশনের সুপারিশ না মেনে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পাঠানোর বিষয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ গত ১৯ অক্টোবর পরিকল্পনা কমিশনে একটি চিঠি পাঠায়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন ২০১৪ এর সংশোধনসহ কিছু ধারায় পরিবর্তন করার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ইতিমধ্যেই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আহŸান করেছে। এ প্রেক্ষিতে পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি একনেক-এর অবগতি ও পরবর্তী নির্দেশনার জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সূত্র জানায়, সমন্বিত গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিটি বাড়িকে অর্থনৈতিক কার্যাবলীর কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ১ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত হয়। ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। পরবর্তীতে মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) কিছু অংশের বিয়োজন ও সুুবিধাভোগীদের সাপ্তাহিক সঞ্চয়ের সমপরিমাণ সরকারি অনুদান প্রদানের জন্য কন্ট্রিবিউটরী মাইক্রো সেভিংস কার্যক্রম প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তকরণ, সুবিধাভোগীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে প্রশিক্ষিত আনসার-ভিডিপি সদস্য, প্রাণিসম্পদ, মৎস ও কৃষি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরগুলোকে নিয়োজিতকরণ এবং উপজেলা পর্যায়ে সমবায়ভিত্তিক বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার বিষয়গুলো ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করে মোট ১ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রথম সংশোধন করা হয়। এরপর ৩ হাজার ১৬২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয় এবং ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ ধরে প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধন করা হয়।
বর্তমানে ব্যয় ৪ হাজার ৮৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় ৮ হাজার ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। সেই সঙ্গে বাস্তবায়ন মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।