পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে নৌকাভর্তি ভারতীয় শাড়ির একটি বড় চালানসহ আটজনকে পাকড়াও করা হয়েছে। আটক আটজনের মধ্যে দুই জন ভারতীয় বলে জানিয়েছেন কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তারা। কোস্ট গার্ডের নিয়মিত অভিযানে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ‘সাগর’ নামে মাছ ধরার ওই নৌকাটি আটক করা হয়।
সন্দেহজনক নৌকাটি সাগরের দক্ষিণ থেকে উত্তরের দিকে ওঠার সময় কোস্ট গার্ড সদস্যরা নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করে। এক পর্যায়ে নৌকাটি আটক করা হয়। কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন গাজী শাহআলম সংবাদিকদের জানান, মূলত নৌকাটি বাংলাদেশি নৌকার মতো মনে হচ্ছিল না। এক পর্যায়ে ধাওয়া দিয়ে নৌকাটি আটক করা হয়। এ সময় নৌকা থেকে ভারতীয় শাড়িসহ ৮ জনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে ২ জন ভারতীয় নাগরিক। বাকি ৬ জন বাংলাদেশী।
নৌকাটির উপর কিছু জাল ও মাছ থাকলেও নৌকার পাটাতনের ভেতরে অসংখ্য বস্তায় ভর্তি বিপুল সংখ্যক শাড়ি লুকানো রয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে দুই জন নিজেদের ভারতীয় পরিচয় দিয়ে বলেছেন, তাদের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের মেদেনীপুরে। নৌকাটি বাঁশখালীর ঘাটখালীতে নিয়ে শাড়ির চালান নামিয়ে দেওয়ার কথা ছিলো বলেও স্বীকার করেন। তারা জানান, ভারতের হলদিয়া বন্দর থেকে এসব শাড়ি নৌকায় তোলা হয়। শাড়ির চালান চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পৌঁছে দিলে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথাও ছিলো। কোস্ট গার্ড কর্মকর্তারা জানান, নৌকা এবং জব্দকৃত শাড়ি যাছাই বাছাই চলছে। পরবর্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা যায়, আগে বরিশাল অঞ্চলে এ ধরনের চালান ধরা পড়লেও সাগর পথে চট্টগ্রামে ভারতীয় শাড়ির চালান আটকের ঘটনা এটাই প্রথম। ভারতীয়রা বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় অনুপ্রবেশ করে প্রায়ই মাছ লুট করছে। আর এখন মাছ লুটের পাশাপাশি চোরাচালানেও তারা জড়িয়ে পড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।