পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মদকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর তফসিলভুক্ত মাদকদ্রব্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে নাÑ এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। সরকার পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে মদকে মাদকদ্রব্যের বাইরে রাখতে নির্দেশনা চেয়ে আদালতে রিট দায়ের করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আর জে টাওয়ার হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড ও ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক।
পরে অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম বলেন, মদ এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্যকে একই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। অনেক মাদকদ্রব্য আছে, যেগুলো আমদানিযোগ্য না, যেগুলো বহন করা অপরাধ। অ্যালকোহল আমদানি-রফতানিযোগ্য পণ্য। কিন্তু ইয়াবা, আইসসহ আরও অনেক মাদকদ্রব্য আছে যেগুলো নিষিদ্ধ পণ্য। এগুলোতো আমদানি বা রফতানিযোগ্য নয়। সেজন্য যারা ব্যবসা করেন তাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়। এখন সমস্যা হলো পানযোগ্য অ্যালকোহল এবং নিষিদ্ধ মাদককে একই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এটির জন্য অ্যালকোহল যারা বিক্রি করে, আমদানি করে বা রফতানি করে তাদের জন্য সমস্যা হয়। এর কারণ এগুলোও তখন মাদকদ্রব্য হিসেবে চিহ্নিত হয়। এর ফলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুতরাং এই আইনকে এক সূত্রে করা বা একই সংজ্ঞায় শ্রেণিভুক্ত করা কেন সংবিধানের ৩১ ও ৪০ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।