মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সুস্মিতা সেন, লারা দত্তের পর ‘মিস ইউনিভার্স’ খেতাবের কথা প্রায় ভুলতেই বসেছিল ভারত। ২১ বছরের খরা কাটল চণ্ডীগড়ের কন্যা হারনাজ সান্ধুর হাত ধরে।
সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা ভুবনসুন্দরীর ৭০তম সংস্করণের আসর বসেছিল ইসরাইলের এইলাটে। ৮০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতার জন্য বেছে নেয়া হয়েছিল ১৬ জনকে। সেখান থেকে প্রথম ১০ এবং প্রথম পাঁচের ধাপ পেরিয়ে শেষ পর্যায়ে সেরার মুকুট ছিনিয়ে নেন ভারতের হারনাজ।
প্রতি ধাপেই নিজের আত্মবিশ্বাস এবং সপ্রতিভ জবাবে বিচারকদের মন জয় করে নিচ্ছিলেন হারনাজ। সময় যত এগিয়েছে, ততই নিশ্চিত হয়েছে তার জয়ের সম্ভাবনা। শেষে ১০০ কোটির দেশকে ফিরিয়ে দিয়েছেন পুরনো খেতাব। সুস্মিতা এবং লারার পর তিনিই তৃতীয় ভারতীয় যিনি মিস ইউনিভার্স হলেন।
জয়ের পর দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতি বার্তায় হারনাজ বলেছেন, তার সাফল্যের তিনটি মন্ত্র—আত্মবিশ্বাস, আত্মবিশ্বাস এবং আত্মবিশ্বাস। নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস ছিল বলেই তিনি এই জায়গায় এসে দাঁড়াতে পেরেছেন। ১৭ বছর বয়স থেকে মডেলিং করছেন হারনাজ। পাঞ্জাবি এই সুন্দরী স্থানীয় এবং সর্বভারতীয় স্তরের বহু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন, তার মধ্যে অধিকাংশই জিতেছেন। তার মধ্যে ‘মিস পঞ্জাব’ এবং ‘মিস ইন্ডিয়া’-র খেতাবও রয়েছে।
দু’টি পাঞ্জাবি ছবিতে ইতিমধ্যেই অভিনয় করেছেন হরনাজ। তবে অভিনয় মডেলিংয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছেন সমান ভাবে। ২০০০ সালের মে মাসে চণ্ডীগড়ে জন্ম। পড়াশোনা চণ্ডীগড়েরই শিবালিক প্রাইভেট স্কুলে। এরপর সরকারি কলেজে স্নাতক হয়ে চণ্ডীগড়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন ‘পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়ছেন হারনাজ।
পরিবার বলতে মা রবীন্দ্র কউর এবং ভাই হরনুর। পিতৃতান্ত্রিক সমাজের বেড়াজাল ভেঙে ডাক্তারি পড়েছিলেন রবীন্দ্র। এখন তিনি প্রতিষ্ঠিত স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ। হারনাজ জানিয়েছেন, মা রবীন্দ্রই তার আদর্শ। মূলত মায়ের লড়াই দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। নারী স্বাধীনতা, নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পছন্দের অধিকার নিয়েও প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন বহু বার।
চিকিৎসক হিসেবে বহু সামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত হারনাজের মা। মেয়েদের ঋতু জনিত সমস্যা বিষয়ে সচেতন করতে প্রায়শই স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেন। হারনাজ তার পড়াশোনা, মডেলিংয়ের নেশা সামলে মায়ের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেন সেই সব স্বাস্থ্য শিবিরেও। ভাই হরনুর উঠতি সুরকার। হরনুর জনিয়েছেন, বরাবরই মডেলিংয়ে ঝোঁক ছিল হারনাজের। পরিশ্রমও করতেন। হারনাজ যে সাফল্য পাবেন, তা একরকম জানাই ছিল তাদের।
সাবেক বিশ্বসুন্দরী প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার কাজে অনুপ্রেরণা পান। হারনাজকে জয়ের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রাক্তন ভুবনসুন্দরী লারা দত্তও। হরনাজের ডাকনাম ক্যান্ডি। অবসরে মাতৃভাষা পঞ্জাবিতে কবিতা লেখেন। এ ছাড়া নাচ, গান, রান্নার শখও রয়েছে।
খেলাধুলোতেও আগ্রহী ক্যান্ডি। ঘোড়ায় চড়তে ভালবাসেন। আবার সময় সুযোগ পেলে পানিতে নেমে সাঁতারও কাটেন। যোগ ব্যায়াম না করে দিনই শুরু করেন না নতুন ‘মিস ইউনিভার্স’। ঘরে বসে খেলার জন্য তার পছন্দ দাবা। তবে এ সবের বাইরে তাঁর আরও একটি গুণ আছে। দারুণ নকলনবিশি করেন হারনাজ! মানুষ অথবা জন্তু জানোয়ারের আচরণ নকল করতে পারেন। মিস ইউনিভার্সের প্রতিযোগিতা চলাকালীনও বেড়ালের নকল করে বিচারকদের অবাক করে দিয়েছিলেন তিনি! সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।