মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গতবছর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। এবার আমিরাত সফরে গেলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
গতকাল রোববার আমিরাত পৌঁছান বেনেট। আবু ধাবিতে পা রাখার পর তিনি বলেন, এই সফর ঐতিহাসিক। এই প্রথমবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী আমিরাতে আনুষ্ঠানিক সফরে এলেন। তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বেনেট বলেন, তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। তিনি জানান, ''আমি আমিরাত আসতে পেরে খুবই উত্তেজিত এবং আনন্দিত। এই প্রথম ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এখানে এলেন। আমরা দুই দেশের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে চাই।''
সোমবার থেকে সরকারি পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে আর্থিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো ভালো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তেল আভিভ ছাড়া আগে বেনেট বলেন. তার সফরের লক্ষ্য, দুই দেশের মধ্যে সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো। তার দাবি, এখন দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক আছে, তা খুবই ভালো। সেই সম্পর্ককে আরো জোরালো ও উষ্ণ করতে হবে।
এক বছর আগেই ইসরাইল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য চুক্তি সই করে। এর অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর বাহরাইন, সুদান, মরক্কোর মতো দেশের সঙ্গেও ইসরাইলের কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করা নিয়ে চুক্তি হয়। বেনেট বলেছেন, ''এক বছরের মধ্যে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। তবে দুই দেশের সম্পর্ক সবে শুরু হয়েছে। এটা অনেকটা দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যাবতীয় সম্ভাবনা রয়েছে।''
ইরানের সঙ্গে এখন পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে জর্মানি, চীন, আমেরিকা সহ কয়েকটি দেশ। ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে ইসরাইল ও আমিরাত উদ্বিগ্ন। ইসরাইল ও আমিরাত কূটনৈৌতিক সম্পর্ক শুরু করে নেয়ায় ইরানও উদ্বিগ্ন। ইরান বলছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করার জন্য। সম্প্রতি ইসরাইল বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়ে বলেছে, যদি কূটনৈতিক প্রয়াসের ফলে ইরান আবার পরমাণু চুক্তিতে ফেরে তাহলে ঠিক আছে, নইলে তারা সামরিক ব্যবস্থা নেবে। গত সোমবার জাতীয় সুরক্ষা পরামর্শদাতা বা এনএসএ-কে তেহরান পাঠিয়েছিল আমিরাত। তিনি সেখানে ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং এনএসএ-র সঙ্গে কথা বলছেন। সূত্র: এপি, এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।