নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মাঝে এক মৌসুম বিরতির পর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) মাঠে গড়িয়েছে গতকাল থেকে। তবে ম্যাচ শুরুর আগে করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছেন ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের ওপেনিং ব্যাটার আবদুল মজিদ। যদিও মধ্যাঞ্চল ফ্র্যাঞ্চাইজি ওয়ালটনের দাবি, তাদের করানো র্যাপিড টেস্টে নেগেটিভ এসেছেন তিনি।
গত শুক্রবার রাতে মধ্যাঞ্চলের ক্রিকেটারদের নমুনা নেয় বিসিবি। গতকাল সকালে যখন একাদশ প্রস্তুত করা হয় রিপোর্ট আসে তখন। সেখানে দেখা যায় করোনা পজিটিভ এসেছেন মজিদ। এমনিতে মজিদ সুস্থ ও ফিট ছিলেন বলে জানিয়েছে মধ্যাঞ্চল। এ ঘটনার পর দলের পক্ষ থেকে পুনরায় র্যাপিড টেস্ট করানো হয় মজিদের। তাতে নেগেটিভ আসে তার। কিন্তু টুর্নামেন্টের প্রটোকল অনুযায়ী খেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি মজিদকে।
টুর্নামেন্টের প্রটোকল অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের আশঙ্কা বা উপসর্গ থাকলে আলাদা করে ফেলা হবে সেই খেলোয়াড়কে। পজিটিভ এলে থাকতে হবে ১০ দিনের আইসোলেশনে। তবে সপ্তম থেকে দশম দিনের মধ্যে উপসর্গ না থাকলে ফলাফলের ভিত্তিতে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন সে খেলোয়াড়। এবারের জাতীয় লিগেও তৃতীয় সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক ছিলেন মজিদ। ছয় ম্যাচে ৪৩.২১ গড়ে করেছিলেন ৫২১ রান। ফলে তাকে না পাওয়া দলটির জন্য বড় ধাক্কাই। এদিন ম্যাচের ঠিক আগমুহূর্তে দলের নিয়মিত ওপেনারকে হারিয়ে একাদশ গঠন করতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে মধ্যাঞ্চলকে। তবে শুরুর সেই ধাক্কা কাটিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষে সুবিধাজনক অবস্থানেই রয়েছে শুভাগত হোম চৌধুরীর দল।
গতকাল চট্টগ্রামে বোলারদের সামর্থ্যরে কথা মাথায় রেখে টস জিতে উত্তরাঞ্চলকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শুভাগত। তাকে হতাশ করেননি রবিইলরা। ৬৫.১ ওভারে ২১০ রানেই নর্থ জোনকে গুটিয়ে দেয় সেন্ট্রাল। সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন পারভেজ হোসেন ইমন। এছাড়া অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব ৩৫ ও তানজিদ হাসান তামিম ৩২ রান করেন। বল হাতে রবিউল ইসলাম তিনটি ও শুভাগত দুটি উইকেট শিকার করেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও হাসান মুরাদ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে দারুণ সূচনা পায় সেন্ট্রাল জোন। ১৭ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ৬১ রান জড়ো করেছেন তারা। ৪৮ বলে ১৮ রানে অপরাজিত মিজানুর দেখেশুনে খেললেও মিঠুন খেলছেন ওয়ানডে মেজাজে। মাত্র ৫৪ বলের মোকাবেলা করেই নামের পাশে তুলে ফেলেছেন ৪৩ রান। হাঁকিয়েছেন ছয়টি চার ও একটি ছক্কা। প্রথম ইনিংসে সেন্ট্রাল জোন ১৫৮ রানে পিছিয়ে।
এদিকে, রাজশাহীতে লাল বলেও আগুন ঝরালেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য নাসুম আহমেদ ও শেখ মেহেদী হাসান। বিসিএলে দুজনই খেলছেন বিসিবি সাউথ জোনের হয়ে। ইসলামি ব্যাংক ইস্ট জোনের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে দুজনই বল হাতে ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। দুজনই তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের পাঁচটি করে উইকেট। মেহেদী বলে হাত ঘুরিয়েছেন ৩৭.২ ওভার, তাতে মেডেন ৭টি। ১টি মেডেন করা নাসুম ২৫ ওভার বল করেছেন।
শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে প্রায় গোটা দিন ব্যাট করেও পূর্বাঞ্চল জড়ো করতে পারে কেবল ২৬০ রান। দলের পক্ষে পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস মাত্র একটি। ইমরুল কায়েসের সাথে ওপেনিংয়ে নেমে ১২০ বলের খেলে ৬১ রান করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এছাড়া ইমরুল ৪৬, রেজাউর রহমান রাজা ৩০ ও শাহাদাত হোসেন দিপু ৩০ রান করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ ওভার খেলেছে সাউথ জোন। তাতে কোনো উইকেট না হারিয়ে দলটির সংগ্রহ ৩ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
উত্তরাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল, চট্টগ্রাম
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৬৫.১ ওভারে ২১৯ (তানজিদ ৩২, পারভেজ ৪৬, নাঈম ১৩, মার্শাল ৩৫, তানবীর ২৫, আরিফুল ২৫, আমিনুল ২১, সানজামুল ২১*; রবিউল ৩/৩৭, মুকিদুল ১/৪৪-১, শুভাগত ২/২১, মৃত্যুঞ্জয় ১/৫৯, মুরাদ ১/৩২)।
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস : ১৭ ওভারে ৬১/০ (মিজানুর ১৮*, মিঠুন ৪৩*; শফিকুল ০/২৬, নোমান ০/১৫, আরিফুল ০/১৪, সানজামুল ০/৬)।
পূর্বাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল, রাজশাহী
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৮৬.২ ওভারে ২৬০ (ইমরুল ৪৬, আশরাফুল ৬১, রনি ১৯, শাহাদাত ৩০, আফিফ ১৩, ইরফান ১০, রেজাউর ৩০, এনামুল ২৪; ফরহাদ ০/৪, মেহেদি রানা ০/৩৬, কামরুল ০/২২, মেহেদি হাসান ৫/৮১, নাসুম ৫/৯৬, নাহিদুল ০/৮)। দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস : ২ ওভারে ৩/০ (বিজয় ০*, পিনাক ০*; নাঈম ০/০, রুয়েল ০/০)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।