চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ উলামা পীর মাশায়েখ মহাজোটসহ সমমনা ১৩টি সংগঠন। আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজারবাগ শরীফ কখনও বিশৃঙ্খলা তৈরী করেনি। জান-মালের ক্ষতি সাধন করেনি। একজনের শাস্তি অপরজনের উপর চাপিয়ে দেয়া অথবা হত্যা, বোমাবাজি, সহিংসতা, সন্ত্রসের মাধ্যমে দ্বীন ইসলাম কায়েম বা প্রচারে বিশ্বাসী নয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের সাথে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আকাশ পাতাল পার্থক্য। জঙ্গিদের কাজের ধরণ হলো- তারা মানুষকে হতাহত করে, ভীত সন্ত্রস্ত করে, অস্ত্র হাতে নিয়ে, হুমকি-ধামকি দিয়ে, বোমাবাজি করে, ত্রাস সৃষ্টি করে। কিন্তু রাজারবাগ দরবার শরীফের কাজের পদ্ধতি হলো, রাজারবাগ শরীফ রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, জনমত তৈরী করে, সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিশুদ্ধকরণের মধ্য দিয়ে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের সাথে রাজারবাগ দরবার শরীফের এখানেই মৌলিক পার্থক্য। বক্তারা বলেন, বর্তমানে রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে যে মিডিয়া ক্যু চলছে তাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠী মর্মাহত।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজকে আদালত থেকে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হচ্ছে। অথচ রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম সম্পূর্ণ শরীয়তের পাবন্দ হওয়ায় উনার কোনো ছবিই নেই। উনার কোনো পাসপোর্টও নেই। উনি নিজের থেকেই দেশত্যাগ করবেন না। একই কারণে উনার নামে কোনো ব্যাংক একাউন্ট নেই। উনার গ্রামের বাড়িতে কিছু কৃষি জমি ছাড়া নিজের নামে কোনো সম্পত্তি নেই। পৈতৃকসুত্রে প্রাপ্ত সম্পদের সিংহভাগ তিনি মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসার নামে দান করেছেন। এমনকি গ্রামের কৃষি জমিতে উৎপাদিত ফসলও ব্যবহৃত হচ্ছে মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য। অথচ উনার নামেই মিডিয়া ও প্রশাসনে ঢুকে পড়া জামাত-শিবির চক্র এত অপপ্রচারণা চালাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আহ্বান, তিনি যেন জামাত-জঙ্গীবাদবিরোধী হক্ব দরবার শরীফ, রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যথাযথো ব্যবস্থা নেন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আলহাজ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হোসেন বুখারী- আলহাজ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, আলহাজ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, মাওলানা মুহম্মদ শোয়াইব আহমেদ, হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল জলীল, ক্বারী মাওলানা মুহম্মদ মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।