নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : দেশের স্বনামধন্য এক শাটলারের নাম এনায়েত উল্লাহ খান। ব্যাডমিন্টনে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আসর মাতিয়েছেন বছরের পর বছর। খেলোয়াড় হিসেবে সুনামও কুড়িয়েছেন অনেক। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও লিগে সেরার খেতাব জিতেছেন একাধিক। বিদেশ থেকে শিরোপা জয় করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। সেই এনায়েত এবার খেলোয়াড় কাম কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন। ব্যাডমিন্টনে প্রথমবারের মতো এসে সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এনায়েত উল্লাহ খানকে নিজেদের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে পুলিশের ভুমিকা উল্লেখযোগ্য। ফুটবল, হকি, ভলিবল, কাবাডিসহ বেশ ক’টি ডিসিপ্লিনে নিয়মিত অংশ নিচ্ছে তারা। ঘরোয়া আসরে বেশ দাপটও দেখাচ্ছেন পুলিশের ক্রীড়াবিদরা। ওই সব ডিসিপ্লিনের জাতীয় দলেও খেলছেন তারা। এবার ব্যাডমিন্টনে নাম লিখিয়েছে দলটি। আগামী মাসে শুরু হওয়া রকল্যান্ড সামার ওপেন ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে শুরু হবে পুলিশ শাটলারদের যাত্রা। প্রথমবারের মতো ব্যাডমিন্টনের কোন টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে শক্তিশালী দলই গঠন করবে বাংলাদেশ পুলিশ। এ ধারাবাহিকতায় তারা কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এনায়েতকে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর নতুন কোচের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করে পুলিশ কর্তৃপক্ষ। নিয়োগ পেয়ে এনায়েত শাটলার তৈরীর কাজ শুরু করেন ১ অক্টোবর থেকে। পুলিশ ব্যাডমিন্টন দলকে প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি রকল্যান্ড সামার ওপেনে তিনি খেলোয়াড় হিসেবেও খেলবেন। এনায়েতের সঙ্গে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন আয়মান ইবনে জামান, তুষার কান্তিধর ও মোহাম্মদ শুভ খেলবেন পুলিশের পক্ষে। এরা ছাড়া পুলিশের ছয়জন সদস্য রয়েছেন দলে। খেলোয়াড়ী জীবন শেষ না হতেই কোচের দায়িত্ব পাওয়ায় দারুণ উচ্ছ¡সিত এনায়েত। তিনি বলেন,‘প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাওয়া পুলিশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যেই দল গড়েছে। সেই দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়ে আমি দারুণ খুশি। চেষ্টা করবো সংস্থাটির আস্থার প্রতিদান দিতে। আশাকরি আমি দলকে সফলতার মুখ দেখাতে পারবো। যার প্রমাণ দেবেন আমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত খেলোয়াড়রা।’
খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে ২০০০ সালে ব্যাডমিন্টনে প্রথম এসেই ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাপে একক বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন এনায়েত। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ২০০৪ সালে বিজয় দিবস ও ২০০৫ সালে সামার ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হন এই শাটলার। ২০১১ সালে জাতীয় ব্যাডমিন্টনের এককে চ্যাম্পিয়ন ও মিশ্র দ্বৈতে রানারআপ হন। এছাড়া ২০০৪ ও ২০০৭ সালে বিমানের হয়ে এবং ২০১১ সালে নিট কনসার্নের হয়ে ঘরোয়া লিগে চ্যাম্পিয়ন হন এনায়েত। আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ২০০১ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান সেটেলাইট টুর্নামেন্টে দলগত বিভাগে রানারআপ ও বিশ্ব এয়ারলাইন্স টুর্নামেন্টের দলগত বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন। ২০০৮ সালে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন্স টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতেন দেশের অন্যতম কৃতি এই শাটলার। ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমস ব্যাডমিন্টনের দলগত বিভাগে ব্রোঞ্জপদক জয়ী এনায়েত এখনো বীরদর্পে কোর্ট মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।