নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
যশোর ব্যুরো : যশোরে গত তিন বছর প্রথম বিভাগ ও দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল না হওয়ায় খেলোয়াড়রা খেলাধূলা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) অনীহার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন জেলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা। গতকাল তারা এমন অভিযোগ করে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। এর আগে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে খেলোয়াড়রা মানববন্ধন করেন। তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে এসময় যোগ দিয়েছেন যশোরের সন্তান ঢাকার মতিঝিল ওয়ারি ক্লাবের খেলোয়াড় আজিজুল, ফকিরাপুল ইয়াংম্যান ক্লাবের আনোয়ার এবং জেলা দলের কামাল হোসেন, নাজমুল হোসেন নজু, মিন্টু।
স্মারকলিপিতে খেলোয়াড়রা জানিয়েছেন, ডিএফএ’র সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি খেলাকে প্রাধান্য না দিয়ে খেলার মধ্যে রাজনীতি ঢুকিয়েছেন। তার একনায়কতন্ত্র ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ফুটবল মাঠে গড়াচ্ছে না। এ জেলায় ফুটবল মৃতপ্রায়। শুধু ডিএফএ’র সভাপতির কারণে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হওয়া শামস-উল-হুদা গোল্ডকাপ ফুটবলও গতবার অনুষ্ঠিত হয়নি। যশোর জেলা দলের খেলোয়াড় আবদুল মতিন খোকন অভিযোগ করেন, ‘শামস-উল-হুদা গোল্ডকাপ ফুটবলের মতো ২০১৩ সালের পর থেকে প্রথম বিভাগ ও দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগ মাঠে গড়াচ্ছে না। গতবছর (২০১৫) যে খেলা হয়েছিল সেটা ২০১২ সালের খেলা। এভাবে গত তিন বছরের খেলার জন্য ৯ লাখ টাকা লুটপাট হয়েছে’। তিনি আরও যোগ করেন, ‘প্রথম বিভাগ ও দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল খেলোয়াড় তৈরির মঞ্চ। কিন্তু ডিএফএর সভাপতির অনীহার কারণে খেলা হচ্ছে না’।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিএফএ যশোরের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠু। তিনি বলেছেন, ‘প্রতি বছরই খেলা হয়। শুধুমাত্র এবছর মাঠ ভাল না থাকায় খেলা করানো সম্ভব হচ্ছে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।