Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে চায়

মার্কিন সিনেটরদের সাক্ষাতের পর ইমরান খান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জোর দিয়ে বলেছেন যে, পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে মূল্য দেয় এবং এটিকে সব ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক মাত্রায় সম্প্রসারণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, দুই দেশের মধ্যে একটি গভীর এবং শক্তিশালী অংশীদারিত্ব এই অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য পারস্পরিকভাবে উপকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ।

সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিং, রিচার্ড বার, জন কর্নিন এবং বেঞ্জামিন সাসের সমন্বয়ে গঠিত মার্কিন সিনেটের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল ইসলামাবাদে তার সাথে সাক্ষাত করার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান এসব মতামত শেয়ার করেছেন। সিনেটর কিং যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটিরও সদস্য।

৯ ও ১০ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আহুত গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলন এড়িয়ে যাওয়ার পাকিস্তানের সিদ্ধান্তের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিটি এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, সম্মেলন উপেক্ষা করা দুটি দেশের মধ্যে ইতোমধ্যেই উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।

চীনের সাথে পাকিস্তানের বন্ধুত্ব দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যকে দৃঢ় করে উল্লেখ ও বিরল প্রশংসার প্রস্তাব দিয়ে বিরোধী দলগুলো পিটিআই সরকারের শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

সিনেটরদের উষ্ণভাবে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান আশা করেন যে, কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের সফর পারস্পরিক বোঝাপড়াকে শক্তিশালী করতে এবং জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, ’দুই দেশের মধ্যে একটি গভীর এবং শক্তিশালী অংশীদারিত্ব ছিল পারস্পরিকভাবে উপকারী এবং এ অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ’। আফগানিস্তানের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের যৌথ উদ্দেশ্যগুলোকে উন্নীত করার জন্য পাকিস্তান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবশ্যই গভীর সম্পৃক্ততা থাকতে হবে।

ইমরান খান বিশেষ করে দেশটির মানবিক সঙ্কট ও অর্থনৈতিক পতন রোধে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করে আফগান জনগণকে সমর্থন করার জরুরি প্রয়োজনের ওপর জোর দেন। তিনি সন্ত্রাসবাদসহ এ অঞ্চলের নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার গুরুত্বও তুলে ধরেন।

ভারতীয় অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে (আইআইওজেকে) মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাবাহিকতা সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করে প্রধানমন্ত্রী ইমরান জোর দিয়ে বলেন যে, আরএসএস-অনুপ্রাণিত বিজেপির চরমপন্থী এবং বর্জনবাদী নীতিগুলো আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

‘যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে তার ভ‚মিকা পালন করতে হবে’ উল্লেখ করে তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, পাকিস্তান তার অংশের জন্য এমন পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে যা এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতাকে শক্তিশালী করবে, যদি ভারতের পক্ষে অনুকুল পরিবেশ তৈরি করা হয়।

বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তার প্রচারে কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত সংগ্রামের কথা স্মরণ করে সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান নাগরিক এবং অন্যদের ১৫ আগস্টের পরে সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সা¤প্রতিক অবদানের জন্য সিনেটররা গভীরভাবে প্রশংসা করেছেন’।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সিনেটররা একটি স্থিতিশীল এবং বিস্তৃত ভিত্তিক পাকিস্তান-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

‘পাকিস্তানের জনসংখ্যার আকারের পাশাপাশি এর ভূ-কৌশলগত অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে তারা জোর দিয়ে বলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার উন্নয়নে দৃঢ় প্রয়াস চালানো উচিত’। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ