পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ লাভের ৭টি ধাপ সাফল্যের সাথে অতিক্রমের পরেও স্থায়ী ঠিকানার অভাবে বরিশালের হিজলার বাস্তুহারা আসপিয়া ইসলামের চাকরি পাবার অনিশ্চয়তায় কিছুটা আশার আলো দেখা দিতে শুরু করেছে। বরিশালের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে হিজলার ইউএনও আসপিয়ার পরিবারের জন্য বাসযোগ্য খাস জমি প্রদানের ব্যবস্থা করছেন। যা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হস্তান্তর সম্ভব হবে বলে ইউএনও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবে তহবিল সঙ্কটে তাকে এখনই ঘর তৈরি করে দেয়া সম্ভব না হলেও প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের পরবর্তি কর্মসূচিতে সে ব্যবস্থা করা হতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু আসপিয়ার জন্য খাস জমি প্রদানে যে সময় লাগবে ততদিন পুলিশের নিয়োগের বিষয়টি অপেক্ষমান থাকবে কিনা সে বিষয়ে ইউএনও কিছু বলতে পারেননি।
সরকারি চাকরির জন্য যেকোন যোগতা সম্পন্নরই স্থায়ী ঠিকানা থাকা বাধ্যতামূলক হলেও আসপিয়া পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের ৭টি ধাপ কৃতিত্বের সাথে অতিক্রম করলেও শুধুমাত্র স্থায়ী ঠিকানার অভাবে তার নিয়োগ আটকে গেছে। তার দাদা বাড়ি ছিল ভোলার চরফ্যাশনে। যার কোন খোঁজ তাদের জানা নেই। বাবার সাথে ছোট বেলা থেকেই বরিশালের হিজলায় অন্যের জমিতে বসবাস করতেন। পিতার মৃত্যুর পরে মা, তিন বোন ও এক ভাইসহ বড় জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের খুন্না-গোবিন্দপুর গ্রামে কোন এক ব্যক্তির জমিতে বসবাস করছেন তারা। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করার পাশাপাশি একমাত্র ভাই পোশাক কারাখানায় চাকরি করছে।
আসপিয়া হিজলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে। পুলিশ কনস্টেবল পদে রিক্রুটমেন্টের সবগুলো ধাপ সাফল্যের সাথে অতিক্রম করলেও শুধু স্থায়ী কোন ঠিকানা না থাকায় সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে চলেছিল। ইতোমধ্যে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি আক্তারুজ্জামানের সাথে দেখা করলে সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী স্থায়ী ঠিাকানা বাধ্যতামূলক হলেও তিনি বিষয়টি সহানুভুতির সাথে দেখার জন্য বরিশালের এসপিকে বলেছেন। কিন্তু পুলিশ সুপার এক্ষেত্রে কিছু করতে পারছেন না।
জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দারের সাথেও আসপিয়া দেখা করেন। তিনি বিস্তারিত শুনে হিজলার ইউএনওকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার নির্দেশ দেন গত বৃহস্পতিবার। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনেই ইউএনও আসপিয়াকে তার কার্যালয়ে খবর দিয়ে সব কিছু শুনে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে খাস জমি দেয়ার কথা জানিয়েছেন।
তবে জমি পেলেও একটি বসত ঘর পেতে আসপিয়ার পরিবারকে আরো অপেক্ষায় থাকতে হবে। উপরন্তু জমি প্রাপ্তির পরে স্থায়ী ঠিকানার লক্ষ্যে সেখানে খানা তৈরি করে তা সরকারি নথিসহ পুলিশ রিক্রুটমেন্টে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ থাকবে কিনা সে বিষয়টি এখনো পরিস্কার নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।