নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বার্সেলোনার কপাল যে পুড়বে তা আগেই আঁচ করা যাচ্ছিল। শেষ ষোলোয় পৌঁছতে হলে ম্যাচটি জিততেই হতো তাদের। কিন্তু শক্তিশালী বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে জয় কেবলই একটি দুঃস্বপ্ন। শেষমেষ ভক্তদের আশা-নিরাশায় ডুবিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিল কাতালানরা। আলেয়াঞ্জ অ্যারেনায় গতপরশু রাতে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-০ গোলে জয় পেয়েছে বায়ার্ন। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাভারিয়ানরা কোনো প্রকার ছাড় দেননি কাতালানদের। গ্রুপে তৃতীয় হওয়ার সুবাদে বার্সা হারালো পরবর্তী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশ গ্রহণের সুযোগ। অবনমন হওয়ায় খেলতে হবে ইউরোপা লিগে।
ম্যাচের ৩৪ তম মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় বায়ার্ন। লেভান্দোভস্কির ক্রস থেকে বাড়ানো বলে দুর্দান্ত হেড নেন জার্মান তারকা মুলার। কিন্তু হেডটি ঠেকিয়ে দেন রোনালদো আরাহো। তবে গোললাইন প্রযুক্তিতে দেখা যায় বল আগেই গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছিল। এই গোল সুবাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মুলারের গোল সংখ্যা পৌঁছে গেল অর্ধশতকে। জার্মান ফুটবলারদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। এর ঠিক ৯ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুন করেন সানে। দূর থেকে নেওয়া জোরালো শটে ঠিকানায় বল পাঠান তিনি। প্রথমার্ধে দুটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি হতাশায় নিমজ্জিত বার্সা। ম্যাচের ৬২ তম মিনিটে গোল ব্যবধান আরো বাড়ান মুসিয়ালা। আলফুস ডেভিসের পাস পেয়ে দারুন এক শটে বল জালে জড়ান তিনি। আর তাতেই শেষ ষোলোর স্বপ্নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয় বায়ার্ন।
এর আগে সবশেষ বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল ২০০০-০১ আসরে। এসি মিলান ও লিডস ইউনাইটেডের পেছনে থেকে তৃতীয় হয়ে উয়েফা কাপে (এখনকার ইউরোপা লিগ) নেমে গিয়েছিল কাতালান ক্লাবটি। আর ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটিতে তারা সবশেষ খেলেছে ২০০৩-০৪ আসরে। ওই আসরে চতুর্থ রাউন্ডে সেল্টিকের বিপক্ষে হেরে বিদায় নিয়েছিল বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব দেখাল বায়ার্ন। ২০১৯-২০ আসরেও এই সাফল্য পেয়েছিল তারা। সেবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল দলটি। তাদের মতো দুইবার গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ জয়ের কীর্তি আছে আর কেবল রিয়াল মাদ্রিদের।
তবে রাতে সবচেয়ে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে চেলসি-জেনিত ম্যাচটি। শুরুতে জয়ের পথেই ছিল চেলসি। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতে বাকি কেবল দুই মিনিট। তখনই তারা হজম করল গোল। হাতছাড়া হয়ে গেল সুযোগও। নিজেদের ম্যাচ জিতে গ্রুপ সেরা হলো জুভেন্টাস। ‘এইচ’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডে ৬ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে জেনিত সেন্ট পিটার্সবুর্গের মাঠে ৩-৩ ড্র করেছে শিরোপাধারী চেলসি। একই সময়ে শুরু হওয়া অন্য ম্যাচে নিজেদের মাঠে মালমোকে ১-০ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাস।
চেলসি ও জুভেন্টাস- দুই দলেরই শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। ৬ ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হলো ইতালিয়ান দলটি। চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ টমাস টুখেলের দল। ৫ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে থাকা জেনিত খেলবে ইউরোপা লিগে। সবার নিচে মালমোর ১ পয়েন্ট।
একই সময়ে শুরু হওয়া অপর ম্যাচে বেনফিকা ২-০ গোলে হারিয়েছে ডায়নামো কিয়েভকে। বেনফিকার হয়ে গোল দুটি করেন ইয়ারেমচুক ও গিলবার্তো। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইয়ং বয়েজের সঙ্গে ১-১ গোল ড্র করেছে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড। এই ড্র-এ তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি ম্যানইউ’র। গ্রুপ শীর্ষে থেকেই শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল।
ওদিকে সালজবুর্গের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে সেভিয়া। আর তাতে বার্সার সঙ্গী হয়ে সেভিয়াকে ইউরোপায় পাঠানো দলটি প্রথমবারের মতো উঠল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলয়। এছাড়া উল্ফসবুর্গকে ৩-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষ দল হয়ে পরের রাউন্ডে যাচ্ছে ফরাসি চ্যাম্পিয়ন লিল। লিলের হয়ে গোল তিনটি করেন ডেভিড, ইমাজ ও গোমেজ।
এক নজরে ফল
জুভেন্টাস ১-০ মালমো
জেনিত ৩-৩ চেলসি
বেনফিকা ২-০ কিয়েভ
বায়ার্ন ৩-০ বার্সেলোনা
ম্যানইউ ১-১ ইয়ং বয়েজ
সলজবুর্গ ১-০ সেভিয়া
উল্ফসবুর্গ ১-৩ লিল
*আতালান্টা-ভিয়ারিয়াল ম্যাচটি ভারী তুষারপাতের কারণে নির্ধারিত সময়ে পরিবর্তে গতকাল রাত ১২টায় মাঠে গড়ায়
শেষ ষোলয় যারা
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন রানার্সআপ
ম্যানসিটি পিএসজি
লিভারপুল অ্যাট.মাদ্রিদ
আয়াক্স স্পোর্তিং
রিয়াল মাদ্রিদ ইন্টার
বায়ার্ন বেনফিকা
ম্যানইউ আতালান্টা/ভিয়ারিয়াল*
লিল সলজবুর্গ
জুভেন্টাস চেলসি
*ম্যাচের জয়ী দল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।