Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হেমন্তের ছড়া

প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আহাদ আলী মোল্লা
নবান্ন সন্ধ্যায়

পাকা ধানের গন্ধে;
আলতো কদম ফেলে যখন নামে হিমেল সন্ধে
বাংলা মায়ের মন ভরে যায় আহা কী আনন্দে।

নেই তো সাঁঝের বাকি;
ডানায় তুলে শো শো আওয়াজ বাসায় ফেরে পাখি
গাছে গাছে কিচির মিচির মধুর ডাকাডাকি।

আকাশ ভরা তারা;
নীল গগণে বসে বসে ছাড়ে আলোর ধারা
ঝিকিমিকি সোনার শিকি হেসেই পাগলপারা।

জোছনা ঢালে চাঁদে;
শিশির ঝরে ঘাসে ঘাসে মুক্ত হওয়ার সাধে
রুপোলি মেঘ দূর নীলিমায় রয় ভেসে আল্লাদে।

পল্লী পাড়া গাঁয়;
ধান মলনের ধুম পড়ে যায় নেই অবসর তাই
উৎসবে হই মাতোয়ারা নবান্ন সন্ধ্যায়।

 

 

শাহীন খান
কেটে যায় কাব্যিক বেলা

নিজ মনে পাখিরা গায় কতো গান
হাসি হাসি ফুলেদের মুখ
গান শুনে ভরে যায় প্রাণ
জাগে কি যে অন্তরে অনাবিল সুখ।

পাকা ধানে মৌ মৌ কৃষকের ঘর
নবান্নের উৎসবে মাতে গোটা পাড়া
হাঁসেদের খেলা চলে জুড়ে সরোবর
অলিরা মধু খেতে হয় মাতোয়ারা।

প্রজাপতি ফড়িংয়েরা নেচে চলে দূরে
খুব বেশি মিঠে লাগে সোনা রদ্দুর
দোলা লাগে, লাগে দোলা রাখালের সুরে
নিরবতা ভেঙে হয় একেবারে চুর।

রাতাকাশে চাঁদ হাসে তারাদের মেলা
ঝরে পড়ে টুপটাপ নিশির শিশির
তাই দেখে কেটে যায় কাব্যিক বেলা
মন আমার হয়ে যায় দারুণ অস্থির!

অবশেষে লিখে চলি ছড়াটড়া গান
হেমন্তের পরশে পুলকিত হৃদ
ভাব আসে এই বুকে যেন অফুরান
সুরে বাজে ল্যাপটপে মধু সংগীত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হেমন্তের ছড়া

২৪ অক্টোবর, ২০১৬
আরও পড়ুন